বৈরুত বিস্ফোরণে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বন্দরের বেশ কিছু কর্মকর্তাকে গৃহবন্দি করেছে সরকার। মঙ্গলবারের ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প একে আবারও ‘টেরিবল এটাক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। অন্যদিকে এই বিস্ফোরণের আন্তর্জাতিক তদন্ত আহ্বান করেছে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। রাজধানী বৈরুতে দুই সপ্তাহের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে লেবাননের মন্ত্রীপরিষদ। শহরের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেনাবাহিনীকে। ওই বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ১৩৫। তবে এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে উদ্ধার অভিযান চলছে। ফলে নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এতে বলা হয়েছে, তদন্তকারীরা মনে করছেন গুদামে জমা করে রাখা বিস্ফোরক পদার্থের বিষয়ে অবজ্ঞা করেছেন সংশ্লিষ্টরা। বৈরুতের গভর্নর মারওয়ান আবুদ বলেছেন, এতে যে ক্ষতি হয়েছে তার পরিমাণ ১০০০ থেকে ১৫০০ কোটি ডলার। কমপক্ষে তিন লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর হারিয়েছেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, যেকোনো রকম আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত তদন্ত হতে হবে, যাতে ভিকটিমরা খাঁটি, ন্যায়বিচার পান। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভারপ্রাপ্ত প্রধান জুলি ভারহার এক বিবৃতিতে বলেছেন, লেবানন এমনিতেই বহুবিধ সঙ্কটে ভুগছে। তার ওপর এই বিস্ফোরণ আরো বিপর্যয়কর। একই সঙ্গে তার সংগঠন জরুরি ভিত্তিতে লেবাননে মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে।