নেত্রকোনার মদন উপজেলার উচিতপুর হাওরে বুধবার দুপুরে নৌকাডুবিতে ১৮ জন নিখোঁজ হওয়ার পর ওইদিনই ১৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিল দমকল বাহিনীর কর্মীরা। নিখোঁজ ছিলেন নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের জামিয়া আরাবিয়া মঈনুল ইসলাম মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম (২২)। ঘটনার দিন বহু চেষ্টা করেও তাঁর কোনো সন্ধান করতে পারেনি উদ্ধার কর্মীরা। এদিকে নৌকাডুবির সংবাদ পেয়ে ছেলে রাকিবের খোঁজে ময়মনসিংহের চরসিরতা ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রাম থেকে মদন থানায় ছুটে এসেছিলেন বৃদ্ধ বাবা শফিকুল ইসলাম। কিন্তু উদ্ধার হওয়া ১৭ জনের মধ্যে তার ছেলে রাকিবের মৃতদেহ না পেয়ে আহাজারিতে মেতে উঠেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওই হাওরের রাজ আলী লীকান্দা এলাকা হাওড়ে নিখোঁজ রাকিবের মৃতদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে মদন থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ জানায়, উদ্ধার লাশটি হাফেজ রাকিবুল ইসলামের। সে ময়মনসিংহের চরসিরতা ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। আটপাড়া উপজেলার জামিয়া আরাবিয়া মঈনুল ইসলাম মাদরাসার শিক্ষক।
এ বিষয়ে মদন থানার ওসি রমিজুল হকের সাথে কথা হলে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নিখোঁজ রাকিবের মরদেহ বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে এবং লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানান ওসি।
এদিকে এ ঘটনা তদন্তের জন্যে বুধবার রাতে নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ফখরুল হাসান চৌধুরী,ওসি মো.রমিজুল হক,ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আহমেদুল।
আগামী ৭ দিনের মধ্যে তাদের তদন্তে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে। আজ থেকেই তদন্তেকাজ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।