কপিরাইট সুরক্ষার নামে সংগীতশিল্পী, মিউজিক কোম্পানি, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও সার্ভিস প্রোভাইডারদের হয়রানির প্রতিবাদ জানালো বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন (বামবা), মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজ ওনারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইবি) ও বাংলাদেশ ফিল্ম প্রোডিউসার্স অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউটার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফপিডিএ)। অভিযুক্ত আইনজীবী ওলোরা আফরিন ও তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রাজধানীর কারওয়ানবাজারের একটি রেস্তোরায় আয়োজন করা এই তিন সংগঠনের যৌথ সংবাদ সম্মেলনের। এখন থেকে একযোগে এই তিন সংগঠন কাজ করবে বলেও জানানো হয়। আইনজীবী ওলোরা আফরিন ও তার প্রতিষ্ঠান এলসিএসসিএফ এর করা মামলায় কদিন আগে একজন ব্যান্ড তারকাকে জেলে যেতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। বামবা সভাপতি হামিন আহমেদ বলেন, মাইলসের ৪০ বছর হয়েছে। এভাবে আরো যারা আছেন তাদের ক্যারিয়ারও অনেক বছরের। কিন্তু হঠাৎ বহিরাগতদের কারণে আমাদের হয়রানি হতে হচ্ছে। এমনকি জেলে পর্যন্ত যেতে হলো একজন মিউজিশিয়ানকে।
এখন কি তাহলে আমরা মিউজিক ছেড়ে দেবো? সংবাদ সম্মেলনের জানানো হয়, আইনজীবী ওলোরা আফরিন তার লাইসেন্সিং অ্যান্ড কালেক্টিং সাসাইটি ফর সিনেমাটোগ্রাফ ফিল্ম নামের প্রতিষ্ঠানটি কপিরাইট দেখার অনুমতি (সিএমও) নিয়েছে। এবং কপিরাইট প্রশ্নে নানা ধরনের মামলা ও নোটিশ পাঠিয়ে যাচ্ছেন। তার দেওয়া অবৈধ ও অনৈতিক প্রস্তাবে কেউ রাজি না হলেই তার বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠান সেই আইনজীবী। যার শিকার হন কাইনেটিক নেটওয়ার্কের জুয়েল মোর্শেদ, নাফিস, জামশেদ ও সানজি। এমনকি কারাগারে যেতে হয় পাওয়ার সার্জ ব্যান্ডের সদস্য জামশেদকে। দ্রুত ওলোরা আফরিন ও তার প্রতিষ্ঠানের সিএমও বাতিল চেয়ে সম্মিলিতভাবে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান বাংলাদেশ ফিল্ম প্রোডিউসার্স অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফপিডিএ) সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু ও এমআইবি সভাপতি একে এম আরিফুর রহমান।