× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জাল সনদে ৯ বছর চাকরি প্রভাষকের বিরুদ্ধে মামলা

বাংলারজমিন

বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
৬ আগস্ট ২০২০, বৃহস্পতিবার

রংপুরের বদরগঞ্জে জাল সনদপত্র দিয়ে চাকরি নেয়ায় নিরঞ্জন কুমার রায় মিলন নামে এক প্রভাষকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তিনি প্রায় নয় বছর ধরে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জাল সনদপত্র দাখিল করে চাকরি করে আসছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসি) নির্দেশে গত ২৭শে জুলাই থানায় নিরঞ্জনের বিরুদ্ধে বদরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মু. মাজেদ আলী খান মামলা দেন। নিরঞ্জন রায় বদরগঞ্জ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক।
স্থানীয় ও এনটিআরসি’র সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, নিরঞ্জন কুমার রায় বিগত ২০১১ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি বদরগঞ্জ কলেজে বাংলা অনার্স বিভাগে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান। ওই নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি অন্যান্য শিক্ষা সনদের সঙ্গে শিক্ষক নিবন্ধনের একটি সনদপত্র দাখিল করেন। ২০০৭ সালে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ৭২০১০১৩৫, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৭০১১৮১৮ উল্লেখ করা হয়। একজন শিক্ষক হিসেবে নিরঞ্জন রায় ভূয়া রোল ও রেজিস্ট্রেশন ব্যবহার করে একটি হুবহু জাল সনদ তৈরি করে নিয়োগ নেন। এদিকে আসল শিক্ষা সনদপত্রটি সঠিক কিনা তা যাছাইয়ের জন্য গত বছরের ১০ই এপ্রিল অপর একটি প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে বলা হয় তাকে।
নিরঞ্জন কুমার রায় মিলন আবারো এনটিআরসির সহকারী পরিচালক মোস্তাক আহমেদ এর স্বাক্ষর জাল করে নকল সনদপত্রটি সঠিক বলে আরেকটি প্রত্যয়নপত্র দাখিল করেন। পরে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি সব কিছুই জালভাবে তৈরি করে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছেন।
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ৩০২ বেসরকারি কলেজকে জাতীয়করণ করা হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসিচব মইনুল হাসান শুধুমাত্র শিক্ষক নিবন্ধনধারী প্রভাষকদের সনদপত্র সঠিক কিনা তা যাছাই করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্ব-স্ব কলেজের অধ্যক্ষদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে নিজ নিজ কলেজ থেকে শিক্ষক নিবন্ধনধারী শিক্ষকদের সনদপত্র এনটিআরসি দপ্তরে পাঠানো হয়। এতে নিরঞ্জন কুমার রায় মিলনের তার দাখিল করা সনদপত্রটি জাল ও ভুয়া বলে অভিযোগ ওঠে। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য সনদটি এনটিআরসি দপ্তরে পাঠানো হলে সনদটি অধিকতরভাবে যাছাই শেষে জানা যায় এটি জাল ও ভুয়া। এতে যে রোল ও রেজিস্ট্রেশন ব্যবহার করা হয়েছে তা অন্য একজন প্রার্থীর। ওই রোলধারীর নাম ফেরদৌসি বেগম, পিতা মরহুম মোহাম্মদ নুরুল হুদা, মাতা লুৎফা বেগম। গত ২২শে জুলাই এনটিআরসির সহকারি পরিচালক তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে জানা যায়, নিরঞ্জন কুমার রায়ের শিক্ষা নিবন্ধনের সনদপত্র জাল/ভুয়া। তিনি একজন হেবিচুয়্যাল ওফে-ার (অভ্যাসগত জালিয়াত)। এই জালিয়াতকে আইনের আওতায় আনা না হলে তিনি আরও জালিয়াতি করবেন। এ কারণে জাল সনদধারী ব্যক্তির (নিরঞ্জন) বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করার জন্য বদরগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষকে অনুরোধ করা হয়। পরে বদরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মু. মাজেদ আলী খান প্রভাষক নিরঞ্জন কুমার রায় ওরফে মিলনের বিরুদ্ধে বদরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। অভিযুক্ত শিক্ষক নিরঞ্জন কুমার রায় মিলন বলেন, ‘যে সময় আমি নিয়োগ নিয়েছি সে সময় শিক্ষক নিবন্ধন সনদপত্রের প্রয়োজন ছিল না। তাহলে জাল সনদ কেন জমা দেয়া হলো। এ বিষয়য়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, ব্যক্তিগত আক্রোশে অধ্যক্ষ আমার ফাইলে জাল সনদ রেখে ফাঁসিয়েছে। বদরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মু. মাজেদ আলী খান বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সকল নিবন্ধনধারী শিক্ষকদের সনদপত্র এনটিআরসি কর্তৃপক্ষের দপ্তরে পাঠানো হয়। সেখানে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা প্রতিবেদন দেয়, নিরঞ্জন কুমার রায়ের সনদপত্রটি জাল ও ভুয়া। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। বদরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আরিফ আলী বলেন, ‘একজন শিক্ষকের সনদ জালিয়াতির ঘটনায় মামলা হয়েছে। সঠিকভাবে দতন্ত করে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর