× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নাচোল ইউএনও সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বাংলারজমিন

নাচোল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি
৬ আগস্ট ২০২০, বৃহস্পতিবার

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে গরীব অসহায় ও সংখ্যালঘুর বসত বাড়ি ভাঙ্গার অভিযোগ এনে ক্ষতিপূরণ দাবি চেয়ে নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানা সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে এক ভুক্তভোগী। গত ২৮ জুলাই সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) এ বসতবাড়ি ভাঙ্গা সহ বাড়ির ক্ষতিপূরণ চেয়ে নাচোল উপজেলার গনইর গ্রামের মৃত: গোলাম মোহাম্মদ এর ছেলে মুকুল বাদী হয়ে এ মামলা দ্বায়ের করেন। মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলো :(২) নাচোল উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মাহামুদুল হাসান (৩) ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম (৪) গনইর এলাকার মৃত:ইউনুস আলীর ছেলে খালেক (৫) জিল্লুর রহমান (৬) জিল্লুর রহমানের ছেলে ইউসুফ ও  (৭) আব্দুস সালাম।
মামলার এজাহার ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার গনইর গ্রামের হাল দাগ ১৬, জমির পরিমান ০.০৪ শতক। এই জমির উপরে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে গনইর গ্রামের মৃতঃ গোলাম মোহাম্মদের ছেলে  মুকুল। মুকুলের বাড়ির দক্ষিন প্রান্তের সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে মৃতঃ কষ্টধর এর ছেলে রঞ্জিত বর্মন। একই এলাকার খালেক নামের (অবঃপুলিশ সদস্য) এক ব্যক্তির অভিযোগ মুকুল ও রঞ্জিত খাসজমিতে রাস্তার উপর বাড়ি করে বসবাস করছে। ওদের কারনে আমার যাতায়াতাতের ব্যাঘাত ঘটছে।এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২০ জুলাই সোমবার বেলা আনুমানিক এগারটার দিকে নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানার নির্দেশে নাচোল ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মাহামুদুল হাসান ও তহশীলদার রফিকুল ইসলাম অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মুকুল ও রঞ্জিত বর্মনের তফশীল বর্নিত জমির উপর নির্মিত ৮০ বছরের পুরাতন বাড়িতে হামলা চালিয়ে অর্ধেক বাড়ি ঘর ভেঙ্গে ফেলে।
অন্যদিকে রঞ্জিত বর্মণের নতুন টিনের চালা ঘর ও দেওয়ালের প্রাচীর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় তহসিলদার রফিকুল ইসলাম। কোন নোটিশ ছাড়া এত বছরের পুরাতন বাড়ি ভেঙ্গে ফেলা ক্ষমতার চরম অপব্যবহার ও সীমাহীন দুর্নীতি বলে বাড়ি ভাঙ্গার সময় ভুক্তভোগি মুকুল ও রঞ্জিত বর্মন বাঁধা দিতে গেলে সার্ভেয়ার মাহামুদুল হাসান ও তহশলিদার রফিকুল ইসলাম একলক্ষ টাকা দাবি করে বলে,এ মুহুর্তে টাকাটা দিলেই বাড়িভাঙ্গা রোধ হবে। এটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানার নির্দেশ। তোরা জানিস না উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানা যেদিকে তাকায় সেদিক মরুভূমি হয়ে যাই।বাড়ির বাকি অংশ রেখে গেলাম টাকা না  পেলে  বাড়ির বাকি অংশ আবার ভেঙ্গে যাব।

ঘটনার কয়েকদিন পর সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) এ বসতবাড়ি ভাঙ্গা সহ বাড়ির ক্ষতিপূরণ ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দাবি করে নাচোল উপজেলার গনইর গ্রামের মৃত: গোলাম মোহাম্মদের ছেলে মুকুল বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলা দ্বায়ের করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর