× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভেসে গেছে সাজানো সংসার

বাংলারজমিন

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
৭ আগস্ট ২০২০, শুক্রবার

ঘর বাঁধে, সাজায় সংসার। দু’চোখে দেখে স্বপ্ন, মনে বড় আশা নিয়ে সাজিয়ে তোলে মনের আনন্দের সংসার। জীবনের পথগুলো এগিতে নিতে শুরু করে চরাঞ্চলসহ নদীর তীরবর্তী মানুষজন। কিন্তু প্রতি বছর নদী কেড়ে নেয় তাদের বসতবাড়ি। বন্যা ভাসিয়ে নেয় সাজানো সংসার। নিঃস্ব করে দেয় ওদের। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ভাঙনের সঙ্গে চলমান বন্যার তোড়ে কয়েক ঘণ্টায় ভাসিয়ে নিয়েছে অষ্টমীরচরের কয়েকটি গ্রামসহ শত শত পরিবারের ঘর-সংসার। সাজানো ঘর-সংসার নিমিশেই নদীতে ভেসে যাওয়ায় গৃহহারা মানুষজনের দিন কাটছে খোলা আকাশের নিচে।
চোখের সামনে ঘরবাড়ি সঙ্গে সাজানো সংসার ভেঙে চুরমার হওয়ায় চোখের জলে বুক ভাসছে তাদের। দু’চোখে স্বপ্ন আর বুকভরা আশা নিয়ে সংসার গড়লেও চলমান বন্যা তা ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ায় দিশাহারা শত শত পরিবার। জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তলিয়ে যেতে শুরু করে চরাঞ্চল ও নদীর তীরবর্তী এলাকা। বন্যার সঙ্গে সঙ্গে নদীর তীরবর্তী অষ্টমীরচর ইউনিয়নের মাজবাড়ি, ভাসারপাড়া, খদ্দবাসপাতারসহ কয়েকটি গ্রাম কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিলীন হয়ে যায় নদীতে। আর বন্যার তোড়ে ভেসে যায় বাড়িঘর। তছনছ হয়ে যায় শত শত পরিবারের সাজানো সংসার। বাড়িঘর হারিয়ে অন্যের জায়গায় আশ্রয় নেয়া মাজবাড়ির মহিনুনেচ্ছা বলেন, বন্যার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রবল স্রোতে নিমিশেই পুরো গ্রাম ভেঙে তলিয়ে যায়, ভেসে যায় বাড়িঘর। অনেক চেষ্টা করে ঘরের কিছু জিনিস রক্ষা করতে পারলেও ঘরের টিনসহ বেশকিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভেসে গেছে। একই কথা জানালো ভাসারপাড়া এলাকার মনতাজ আলী। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তাফা বলেন, নদী ভাঙনের সঙ্গে সঙ্গে বন্যার পানি তোড়ে মাজবাড়ি ও ভাসারপাড়া কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভেঙে তলিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, ৫ শতাধিক পরিবার নিমিশেই তাদের সাজানো সংসার হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। কিছু ঘরের জিনিসপত্র কিছুটা রক্ষা করতে পারলেও অনেকে সব হারিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গৃহহীন মানুষগুলো সালিপাড়া, খদ্দ, মনতোলা, আমতলিসহ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মানবতের জীবনযাপন করলেও নতুন করে সংসার সাজানোর চিন্তা-ভাবনায় দিশাহারা পরিবারগুলো।
 উপজেলা নির্বাহী অফিসার এডব্লিউএম রায়হান শাহ্‌ বলেন, বন্যার্ত ও ভাঙন কবলিত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং গৃহহারা মানুষের জন্য পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর