× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভাসছে চাঁদপুর

বাংলারজমিন

মোরশেদ আলম, চাঁদপুর থেকে
৭ আগস্ট ২০২০, শুক্রবার

বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে চাঁদপুর জেলা। শহর এবং গ্রামে সর্বত্রই ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। গত বুধবার বিকালে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে পুরো জেলা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে হঠাৎ করে চরম বিপাকে পড়েছেন গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ। বুধবার বিকালে থেকে ধীরে ধীরে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যায় পরিণত হয়। রাত সাড়ে ৮ টায় শহরের বিভিন্ন সড়ক পানিতে ডুবে যেতে দেখা যায়। এর মধ্যে চাঁদপুর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়ক, চিত্রলেখা মোড়, হাজী মুহসীন রোড, চাঁদপুর হাসান আলী স্কুল মাঠ, মিশন রোড, পালপাড়া, ঘোষপাড়া, নতুনবাজার,  গুয়াখোলা প্রফেসর পাড়া কাজী নজরুল ইসলাম সড়ক স্ট্যান্ড রোড, ট্রাক রোড এবং শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কসহ শহরের বিভিন্ন পাড়া,  মহল্লা এবং বিভিন্ন সড়কগুলো বন্যার পানিতে ডুবে যেতে দেখা যায়। এতে করে ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
হঠাৎ করে শহরের সড়কগুলোতে বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ায় অনেক সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এছাড়া পুরানবাজার,  দোকানঘর, বহরিয়া, হাইমচর, চান্দ্রা, হানারচর, লক্ষ্মীপুর, রামদাসদী, রাজরাজেশ্বর, ইব্রাহিমপুর, রঘুনাথপুর, কোড়ালিয়া, কাশিম বাজার, তরপুরচণ্ডী সহ নদীর পাড়কেন্দ্রিক এলাকাগুলোতেও ব্যাপক পানি বৃদ্ধি পেতে দেখে গেছে। ফলে  বুধবার বিকাল থেকে দোকানঘর লোহারপুল হয়ে নতুনবাজার, পুরানবাজার ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটিতে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। একই অবস্থা হয় পুরানবাজার থেকে নতুনবাজারে আসার আরো দু’টি সড়কেরও। এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় কিছু লোক রাস্তায় গাছ ফেলে এমনকি ব্যারিকেড  দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। যার কারণে আটকা পড়ে যায় নতুনবাজারের উদ্দেশে আশা শত শত লোকজন ও বিভিন্ন যানবাহন। এদিকে এদিন রেকর্ড পরিমাণ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রামাঞ্চলের বহু পরিবার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বেড়িবাঁধের সড়কের পাশে আশ্রয় নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। হঠাৎ করে চাঁদপুরে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শহরজুড়ে পানিতে প্লাবিত হওয়ায় অনেকেই এটিকে ’৮৮ কিংবা ’৯৮ এর মতো ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা বলে ধারণা করছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর