× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাঁচা-মরার লড়াই রিয়াল ও জুভেন্টাসের / ‘আরেকটি মিরাকল দেখাবে রোনালদো’

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
৭ আগস্ট ২০২০, শুক্রবার

ভাগ্য বদলের মিশন নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে আজ মাঠে নামছে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার সিটি প্রথম লেগে ২-১ গোলের জয়ে এগিয়ে আছে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে। শেষ ষোলোর আরেক ম্যাচে একই লক্ষ্য নিয়ে অলিম্পিক লিঁও’র মুখোমুখি হবে জুভেন্টাস। প্রথম লেগে ১-০ গোলে হেরে যায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দল। তবে ফিরতি লেগটি তারা খেলবে নিজেদের মাঠে। গত মৌসুমেও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠে ২-০ গোলে হেরে পিছিয়ে পড়েছিল জুভেন্টাস। এরপর তুরিনে রোনালদোর হ্যাটট্রিকে তারা জায়গা করে নেয় কোয়ার্টার ফাইনালে। আর জুভেন্টাস গোলরক্ষক ভইসচেক সেজনির বিশ্বাস, ‘আরেকটি মিরাকল দেখাবেন রোনালদো।’

জুভেন্টাসকে টানা নবম সিরি আ শিরোপা জেতাতে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছেন রোনালদো।
লীগ শেষ করেছেন ৩১ গোল নিয়ে। সেজনির বিশ্বাস ফর্মটা তিনি দেখাবেন আজকের  চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ম্যাচেও। ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম টুট্টোস্পোর্তকে সেজনি বলেন, ‘আমি পুরোপুরি প্রস্তুত একটা দল দেখতে পাচ্ছি। পরিবেশটা গত বছর অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ম্যাচের মতোই। আমরা এটা এ বছরও করতে পারি। রোনালদো কি হ্যাটট্রিক করবে? বিশ্বের কারোর তার সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ নেই। কেউ বলবে না রোনালদো আবার এটা করতে পারবে না। প্রয়োজনীয় মুহূর্তে সে ব্যবধান গড়ে দেয়। আবারো অলৌকিক কিছু করে দেখাতে প্রস্তুত রোনালদো।’

চ্যাম্পিয়ন্স লীগের নকআউট পর্বে ১১ বার  প্রথম লেগে পিছিয়ে পড়ে ৫ বার ঘুরে দাঁড়ানোর নজির আছে জুভেন্টাসের। অন্যদিকে ফরাসি ক্লাব লিঁও নকআউট পর্বে নিজেদের শেষ ১০ অ্যাওয়ে ম্যাচে জয়হীন। প্রতিপক্ষের মাঠে তাদের সবশেষ জয় ২০০৬-এ ডাচ ক্লাব পিএসভি আইন্দোফেনের বিপক্ষে। তবে সেজনি লিঁওকে সমীহ করছেন। তিনি বলেন, ‘লিঁও শারীরিকভাবে বেশ ফিট একটা দল। মনে হচ্ছে তারাও প্রস্তুত হয়েই নামছে। আমরা দেখবো কারা কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পায়।’

ইতিহাস রিয়ালের বিপক্ষে
রিয়াল মাদ্রিদের চ্যালেঞ্জটা কঠিন। ফিরতি লেগের ম্যাচটা তাদের খেলতে হবে ম্যানচেস্টার সিটির মাঠে। ২-১ গোলে হারায় রিয়ালের জয়ের ব্যবধানটা হতে হবে কমপক্ষে ২-০ ব্যবধানে। ২-১ হলে ম্যাচ গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে মিমাংসা না হলে টাইব্রেকারে ভাগ্য নির্ধারণ হবে। তবে রিয়াল ৩-২ গোলে জিতলে অ্যাগ্রিগেটে ৪-৪ সমতা সত্ত্বেও অ্যাওয়ে গোলের হিসাবে পৌঁছে যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। ইতিপূর্বে দু’বার ইতিহাদ স্টেডিয়ামে খেলেছিল রিয়াল। ২০১২-১৩তে গ্রুপ পর্বে ১-১ এবং ২০১৫-১৬তে সেমিফাইনালে গোলশূন্য ড্র করেছিল তারা। আর ম্যান সিটি এর আগে ৭ বার নকআউট পর্বে অ্যাওয়ে ম্যাচে জিতে প্রত্যেকবারই গেছে পরের রাউন্ডে। রিয়ালের ক্ষেত্রে উল্টো চিত্র। তিনবার নকআউট পর্বে ঘরের মাঠে হেরে একবারও উতরাতে পারেনি মাদ্রিদ জায়ান্টরা। তবে দলটির অনুপ্রেরণা হতে পারে ২০১৫-১৬ মৌসুমের কোয়ার্টার ফাইনাল। সেবার জার্মান ক্লাব ভলস্ফবুর্গের মাঠে ২-০ গোলে হারের পর সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৩-০ গোলের জয়ে সেমিতে নাম লিখিয়েছিল তারা। সেটি অবশ্য ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কল্যাণে। রোনালদোহীন রিয়াল গতবার শেষ ষোলো থেকে বাদ পড়েছিল আয়াক্সের কাছে হেরে। তবে জিদান ডাগআউটে ফেরার পর রিয়াল স্বরূপে ফিরেছে। বিশেষ করে লকডাউনের পর তাদের পারফরম্যান্স ম্যান সিটির জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে। বার্সেলোনাকে পেছনে ফেলে লা লিগা জেতা রিয়াল শিবিরে আত্মবিশ্বাসের কমতি নেই এতটুকু। এখন তাদের দলের সবাই এখন গোল করতে পারেন। সার্জিও রামোস দারুণ ফর্ম দেখিয়েছেন লা লিগার শেষভাগে। যদিও আজ খেলতে পারবেন না তিনি। প্রথম লেগে লাল কার্ড দেখায় রামোসকে থাকতে হবে বেঞ্চে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর