× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ধলেশ্বরীতে বিলীন ৩ বাড়ি, পানিবন্দি সহস্রাধিক পরিবার

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
(৩ বছর আগে) আগস্ট ৬, ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৮:২৮ পূর্বাহ্ন

 নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ধলেশ^রী নদীর প্রবল স্রোতেরাতে দু’টি একতলা পাকা ভবন এবং একটি আধাপাকা ভবন দেবে ভেঙ্গে পড়েছে। পাশাপাশি নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা তলিয়ে গেছে। এতে ওইসব এলাকার সহস্্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়া এলাকা গুলোকে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা পরিদর্শন করলেও এখনো কোন ত্রাণ বিতরণ হয়নি।
বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার কাশিপুর, এনায়েতনগর ও বক্তাবলী ইউনিয়নের তিনটি এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গত সোমবার রাত থেকে ধলেশ্বরী নদীর পানি বেড়ে ওইসব এলাকা ডুবে যায় এবং পানি এলাকার বাড়ি ঘরে উঠতে থাকে। গত তিনদিনে এ পানি বেড়ে কোন স্থানে হাটু আবার কোন স্থানে বুক সমান হয়েছে। পানির স্রোতেরাতে কাশীপুর ও বক্তাবলী ইউনিয়নের মধ্যে একমাত্র সংযোগ সড়কটির একটি অংশ ভেঙ্গে পানির নিচে তলিয়ে যায়।
এদিকে বুধবার রাতে কাশিপুর ইউনিয়নের উত্তর নরসিংপুর এলাকার লাকি বেগমের এক তলা ও তার পাশের রমজান মিয়ার একতলা পাকা ভবন পানির প্রবল স্রোতেরাতে দেবে ভেঙ্গে যায়।
একই সময় বক্তাবলী ইউনিয়নের পূর্ব গোপালনগর এলাকার মানিক মিয়ার আধা পাকা একটি বাড়ি পানির স্রোতেরাতে ধসে পড়েছে। এ তিনটি পরিবার এখন পানির উপর বাঁশের মাচা তৈরি করে বসবাস করছে।

লাকি বেগম বলেন, গত বুধবার রাতে হঠাৎ তার বাড়ির এক পাশ ধসে পড়ে। ওই সময় পরিবারের সবাইকে নিয়ে এক কাপড়ে তিনি কোন মতে ঘরের বাইরে বেরিয়ে প্রাণ বাঁচান। ঘর থেকে তিনি কিছুই বের করতে পারেননি।
পাশের বাড়ির রমজান মিয়া বলেন, প্রতিবেশি লাকি বেগমের বাড়ি ধসে পড়ার কিছুক্ষণ পর আমার ভবনও একটি ভাবে ধসে পড়েছে। এখন খোলা আকাশের নিচে পানির উপর বাঁশের মাচা তৈরি করে বসবাস করছি।

মানিক মিয়া বলেন, পানি বাড়ির চারপাশে থাকলেও আমার ঘরে উঠেনি। কিন্তু হঠাৎ করেই রাতে পুরো ঘরটা একটি ঝাঁকুনি দিলে ভূমিকম্প ভেবে ঘর থেকে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বের হতেই মুহুর্তে আমার আধা পাকা ঘরটি ধসে পানিতে তলিয়ে যায়। তিনিও ঘর থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এক কাপড়েই বের হন বলে জানান।
ব্যবসায়ী আলীম শেখ বলেন, তিনদিন আগে রাতে বাড়ি ফেরার সময় দেখেছি রাস্তার উপর কিছু পানি উঠেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার দরজার সামনে পানি। আমাদের বক্তাবলী ইউনিয়নের পূর্বগোপাল নগর এলাকায় প্রায় ৩ শতাধিক পরিবার তিনদিন যাবত পানিবন্দি হয়ে আছে। পানি বন্দি পরিবার গুলোর মধ্যে অনেক দিন মজুর পরিবার রয়েছে। এসব পরিবারে দ্রুত ত্রাণ পৌছানো প্রয়োজন। অনেকেই ঘরের ভেতর মাচা করে বসবাস করছেন। আবার অনেকেই খোলা আকাশের নিচে উঁচু জমিতে চৌকির উপর বসবাস করছে। তবে পানি বাড়লে এসব মানুষের বিপদ আরও বাড়বে।  

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক বলেন, খবর পেয়ে পানিবন্দি এলাকা গুলোতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে পরিদর্শন করেছি। অসহায় পরিবারগুলোর কাছে দ্রুত ত্রাণ পৌছানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর