ভার্চুয়াল ও শারীরিক উপস্থিতি উভয় ধরনের আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফুলকোর্ট সভা। গতকাল বিকাল ৩টা থেকে প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানায়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় উভয় বিভাগের বিচারপতিরা ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন। তবে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান কিছু জানাননি। সভা সূত্র জানায়, হাইকোর্ট বিভাগের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিচারপতি শারীরিক উপস্থিতিতে আদালত পরিচালনার ইচ্ছা পোষণ করেন। যারা শারীরিক উপস্থিতিতে আদালত পরিচালনা করতে ইচ্ছুক নয়, তাদেরকে ভার্চুয়াল বেঞ্চ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় ফুলকোর্ট সভায়। এদিকে ২০২০ সালের অবকাশকালীন ছুটি বাতিলের পক্ষে মত দিয়েছেন অধিকাংশ বিচারপতি। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি প্রধান বিচারপতি।
সভার আলোচ্য সূচিতে ছিল শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের নিয়মিত বিচারকাজ পরিচালনা, সুপ্রিম কোর্টে বার্ষিক অবকাশকালীন ছুটির বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
সূত্র জানায়, উচ্চ আদালতে নিয়মিত ও ভার্চুয়াল দুটি মাধ্যমই চালু থাকার মত দেন বিচারপতিরা। কেউ কেউ মত দেন যেহেতু গত কয়েকদিন ধরে করোনায় নতুন সংক্রমণের হার তুলনামূলক বেড়েছে। ঈদুল আজহার ছুটিতে ঘরমুখো মানুষের কারণেও সংক্রমণের হার এ মাসের মাঝামাঝিতে কিছুটা বাড়তে পারে। এ পরিস্থিতিতে বিচারপতিদের একটি অংশ বিদ্যমান ভার্চুয়াল মাধ্যমে জামিনসহ জরুরি কিছু বিষয় শুনানি করতে মত দেন। দেওয়ানিসহ কিছু বিষয় নিয়মিত আদালতে শুনানির জন্য কিছু বেঞ্চকে নির্ধারণ করে দেয়া যেতে পারে। তাতে আদালতে অহেতুক ভিড় এড়ানো সম্ভব হবে। আর সংশ্লিষ্ট মামলার আইনজীবী ছাড়া অন্যদের আদালতের এজলাসে প্রবেশেও কড়াকড়ি আরোপ করতে বলা হয়। চলতি মাসের শেষের দিকে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে আংশিকভাবে ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ থাকবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে বলে মত দেন কেউ কেউ।