করোনাভাইরাস মহামারিকালে কারও জ্বর-কাশি বা এ ধরনের লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দিলে গোপন না করে অবশ্যই নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে। মহামারির রোগ গোপন করা একটি অপরাধ।
শুক্রবার দৈনন্দিন হেলথ বুলেটিনে এ কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘আমরা কয়েক দিন আগেই কোরবানির ঈদ উদযাপন করেছি। পশুর হাটে অনেক লোক সমাগম হয়েছে। ঈদ উৎসব পালন করতেও আমরা অনেকে সমবেত হয়েছি। এই মুহূর্তে যে কারও লক্ষণ-উপসর্গ থাকলে অবশ্যই নমুনা পরীক্ষা করতে দেব। কোনো রকম জ্বর-কাশি হলে গোপন করব না। যেহেতু এই মহামারি রোগ গোপন করাও একটি অপরাধ। কাজেই মহামারির কোনো লক্ষণ, উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই আপনারা নমুনা পরীক্ষা করবেন এবং এই রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করবেন।’
নাসিমা সুলতানা আরো বলেন, ‘আমরা যেসব স্বাস্থ্যবিধি প্রতিনিয়তই বলি, সেগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
যেমন সঠিকভাবে মাস্ক পরা, বারবার সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা বা জনসমাবেশ এড়িয়ে চলা। প্রত্যেকটি জিনিস একইসঙ্গে করতে হবে, কোনো একটি আলাদাভাবে নয়। তাহলেই আমরা এই করোনাকে মোকাবিলা করতে পারবো। তাছাড়া যারা অসংক্রামক ব্যাধিতে ভুগছেন, তারা অনেক বেশি সতর্ক-সচেতন থাকবেন। কারণ করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের জন্য ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। কাজেই আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরো জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ২৫৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৬৯৯টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১২ লাখ ৩৭ হাজার ৮২৩টি। নতুন পরীক্ষায় করোনা মিলেছে দুই হাজার ৮৫১ জনের মধ্যে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৫২ হাজার ৫৯২ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ২৭ জন। ফলে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হলো তিন হাজার ৩৩৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো এক হাজার ৬০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৪ জনে।