× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নারায়ণগঞ্জে রামদা হাতে যুবকের মহড়ার ভিডিও ভাইরাল, নিশ্চুপ প্রশাসন

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
৭ আগস্ট ২০২০, শুক্রবার

নারায়ণগঞ্জ নগরের গাবতলী এলাকায় দিনে দুপুরে রামদা নিয়ে এক যুবককে তার এক প্রতিবেশির বাড়িতে হামলার একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। গত ৪ আগষ্ট ওই ঘটনার পর হামলার শিকার নূর জাহান বেগম নামে এক নারী ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। কিন্তু ঘটনার ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেনি। এমনকি গ্রেপ্তারের চেষ্টাও চালায়নি।
রামদা হাতে ওই যুবক আর কেউ নন, তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় গোলাম গাউসের ছেলে গাউসুল উৎস। এই উৎস’র বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ এটিই প্রথম নয়।   
অভিযোগে নূরজাহান বেগম উল্লেখ করেন, তার ছেলে নিজামকে গত ৪ আগষ্ট উৎস তার ১০ থেকে ১৫ জন সহযোগি নিয়ে ধাওয়া করে। ওই সময় তাদের কাছে রামদা, চাকু, ক্ষুর সহ দেশীয় অস্ত্র ছিলো। তারা তার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধাওয়া করেছে বলে অভিযোগে দাবি করা হয়।
উৎস’র বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক অভিযোগ থাকলেও বাবা গাউস জাতীয় দলের সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় হওয়ায় সেই সুবাদে পুলিশকে ম্যানেজ করে থাকেন।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, সাদা টি শার্ট পড়া উৎস লম্বা একটি রামদা নিয়ে একটি গলি থেকে উত্তেজিত অবস্থায় বের হয়ে প্রতিবেশির বাড়িতে হামলা করে। তার পিছু পিছু আরও কয়েকজনকে দেখা গেছে। একটু পর উৎস ফের রামদা হাতে ওই গলিতে ফিরে আসে। গলিতে ফিরে এসে কাউকে উদ্দেশ্য করে চিৎকার করে কিছু বলছিলো। এক পর্যায়ে দৌড়ে একটি বাড়িতে  ঢোকে। এর কিছুক্ষন পর উৎস ফের গলির মুখের সামনের রাস্তায় আরও কয়েকজনকে নিয়ে অবস্থান নেয়। পরে কয়েকজন যুবক ও একজন মুরুব্বি তাকে বুঝিয়ে গলির দিকে ফিরিয়ে আনে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কিশোর বয়স থেকেই উৎস বখে যায়। ইতিপূর্বে কয়েকবার মারামারি, অপরকে জখমের ঘটনায় পুলিশ তাকে আটক করলেও গোলাম গাউস নিজেকে গোপালগঞ্জের লোক পরিচয় দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছে।
গাউস পরিবারকে চেনেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাউসের বাবা বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা ডকইয়ার্ডে চাকরী করতো। তাদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে। গাউসের মায়ের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। স্থানীয়রা জানান, গাউসের আস্কারাতেই তার ছেলে অল্প বয়স থেকেই বখাটে হয়েছে।
ছেলের হাতে রামদা প্রসঙ্গে গোলাম গাউস বলেন, আমার ছেলে উৎসকে একটি পক্ষ হুমকি ধামকি দিচ্ছিল। একারণে ৪ আগস্ট আমার ছেলে রাগাম্বিত হয়ে রামদা নিয়ে বের হয়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, গত ৪ আগস্টের ঘটনায় নূর জাহান বেগম নামে এক নারী লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল। যেহেতু ঘটনাটি একই এলাকার এবং পরস্পর পরস্পরের প্রতিবেশি তাই ৬ই আগস্ট উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে এনে উভয় পক্ষের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে ঘটনা মিমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ওই ঘটনায় পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। আর ভিডিও দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।  
থানার একটি সূত্র জানায়, মিমাংসা বৈঠকে উৎস বা তার বাবা গোলাম গাউস উপস্থিত ছিল না। গাউসের বিরুদ্ধে বিদ্যুতের মামলায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে। তাদের পরিবর্তে উৎস’র বড় চাচা গোলাম সারোয়ার থানায় উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম বলেন, এ ব্যাপারে ওসি ফতুল্লাকে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর