× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কোজিকোড় বিমানবন্দর অবতরণের জন্যে বিপজ্জনক, ন'বছর আগে দেয়া রিপোর্ট ঠান্ডাঘরে

ভারত

বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা
(৩ বছর আগে) আগস্ট ৮, ২০২০, শনিবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন

হয়তো আঠারোটি প্রাণ এভাবে বিনষ্ট হতোনা। হয়তো আটত্রিশ জন মানুষকে এভাবে জীবনের জন্যে পাঞ্জা লড়তে হতোনা। যদি ন'বছর আগে জমা পড়া রিপোর্টটিকে এতটুকু গুরুত্ব দিতো অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক। দু'হাজার এগারো সালের সতেরো জুন অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক গঠিত নিরাপত্তা পর্যবেক্ষন কমিটির ভারপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মোহন রঙ্গনাথন রিপোর্ট দেন কোজিকোড়ের কাশিপুর এয়ারপোর্টের দশ নম্বর রানওয়েটি বিপজ্জনক এবং গোটা বিমানবন্দরটিই বিপজ্জনক। তাই এটি বন্ধ করে দেয়াই ভালো। অথচ কেউ শোনেনি এই সাবধানবার্তা। ঠান্ডা ঘরে চলে যায় মোহন রঙ্গনাথনের সেই রিপোর্ট। শুক্রবার রাতে এই অভিশপ্ত দশ নম্বর রানওয়েতেই ভেঙে পড়লো এয়ার ইন্ডিয়ার দুবাই থেকে আসা বিমান।
রানওয়ে ভিজে অবস্থায় কোনও বিমান যেন অবতরণ না করে কোজিকোড়ে। এই সতর্কবার্তাও উপেক্ষিত হয়। শুক্রবার রাতে কোজিকোড় বিমানবন্দরের রানওয়ে প্লাবিত ছিল। প্রথমবারের ল্যান্ডিং এর চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের ল্যান্ডিং এর সময় বিমান পঁয়ত্রিশ ফুট ওপর থেকে একটি খাদে পড়ে দু টুকরো হয়ে যায়। এক পাইলট সহ আঠারো জন যাত্রী প্রাণ হারান।
কি ছিল মোহন রঙ্গনাথনের রিপোর্টে? নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা তাঁর রিপোর্টে লিখেছিলেন, কোজিকোড় বিমানবন্দরটি টেবিলটপ বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরের রানওয়ের একদিক ঢালু, বাফার জোন অপ্রতুল। এছাড়াও রিপোর্টে বলা হয় রানওয়ের শেষদিকে বাফার জোন দুশো চল্লিশ মিটার হওয়ার কথা। কিন্তু কোজিকোড় বিমানবন্দরে তা নব্বই মিটার। রানওয়ের বিস্তৃতি একশো মিটার হওয়া বাধ্যতামূলক। কোজিকোড়ের কাশিপুর এয়ারপোর্টে তা পঁচাত্তর মিটার। পর্যবেক্ষণের শেষে বলা হয় ভিজে অবস্থায় তো বটেই, স্বাভাবিক অবস্থাতেও এই রানওয়েতে বিমান অবতরণ বিপজ্জনক। কোজিকোড় বিমানবন্দর অপারেশনাল না রাখার পরামর্শও দেয়া হয়েছিল। দুর্ভাগ্যের বিষয়, এই রিপোর্ট দিনের আলো দেখেনি। ঠাঁই হয়েছে অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের কোনও বাতিল ফাইল এ। কিন্তু এগারো বছরেও যদি একটু বরফও গলতো তাহলে হয়তো নিছক শবদেহ হয়ে আঠারোটি মানুষকে বাড়ি ফিরতে হতোনা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর