× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, কর্মহীন মানুষ বিপাকে

বাংলারজমিন

সাওরাত হোসেন সোহেল, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) থেকে
৮ আগস্ট ২০২০, শনিবার

৩য় দফা বন্যার পানি থেকে মুক্তি আর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বিপাকে হাজার হাজার পরিবার। বন্যার বাড়িঘর তছনছ হওয়ায় কর্মহীন মানুষগুলো পড়েছে সংকটে বাড়ছে হতাশ। চোখে জল মুখ মলিন নিঃস্ব হাতে কি ভাবে সাজাবে সংসার সেই চিন্তা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে বানভাসীদের। কুড়িগ্রামের চিলমারীর নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার নিচে নেমে যাওয়ার সাথে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখনো কয়েক হাজার মানুষ রয়েছে পানিবন্দি। ঘরে বন্যার পানি উঠায় অন্যত্র নিরাপদ স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাদের অনেকেই ঘরে ফিরে গেছেন। তবে নিন্মাঞ্চলের ও বাঁধের পশ্চিমতীরে নিচু এলাকাগুলো বন্যার পানিতে জলাবন্ধত্বা সৃষ্টি হওয়ায় সেসব এলাকার মানুষ এখনও রয়েছেন বাঁেধ আশ্রয় নিয়ে, পড়েছেন বিপাকে। ঘরে খাবার না থাকায় কর্মহীন বন্যার্ত মানুষ এখন চরম হতাশায়। বন্যা কবলিত এলাকার রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে।
উপদ্রুপ এলাকায় ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সাথে বাড়ছে করোনার ভয়।
এবারের বন্যায় বেশি বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবি মানুষজন। করোনায় দীর্ঘদিন গৃহবন্দি থাকার পর বন্যায় থাবায় তারা তারা দিশাহারা। করোনায় হাত পা গুটিয়ে থাকা মানুষজনের বাড়ি থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেও দুর্গত এলাকার লোকজনের হাতে কাজ না থাকায় খাদ্য সংকটে পড়েছে তারা। নদীর তীর ও বাঁধ এলাকাসহ সবচেয়ে বেশি তিগ্রস্ত এলাকা গুলোতে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটের সাথে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া, হাতে পায়ে ঘাসহ নানা পানি বাহিত রোগ। খোজ নিয়ে জানা গেছে বন্যা ও অতি বৃষ্টিতে উপজেলায় কাচা-পাকা সড়ক তিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। প্রায় ১মাস বন্যায় চারন ভুমির গো খাদ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় গবাদী পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বানভাসীরা। প্রানী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে উপজেলার চরাঞ্চলসহ নি¤œাঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির পশু পাখী খাদ্য সংকটে পড়েছে। বন্যা চারন ভুমির কাচা ঘাস পচে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে গরু, ছাগল ও ভেড়ার মালিকরা। অপর দিকে এ বন্যা ও অতি বৃষ্টিতে  উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের জমির পাট, ধানক্ষেত, বীজতলা ও মৌসুমী ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এ অবস্থায় তি পুষিয়ে নিতে দুঃচিন্তায় পড়েছে কৃষকরা। অপরদিকে বন্যা পরিস্থিতি একটু উন্নতি হলেও বাঁধের পশ্চিরতীরের কয়েক হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দি রয়েছেন এবং শতশত পরিবার বাড়িতে ফিরতে না পেরে এখনো পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁধে গাদাগাদি মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সূত্রে জানা গেছে। জোড়গাছ বাঁধে আশ্রয় নেয়া রিপন একজন রিকসা চালক, বাঁেধ আশ্রয় নেয়া আয়নাল একজন পেশায় দিনমজুর। তারা জানায় করোনায় ধাক্কা থেকে উঠার আগে বন্যা ধাওয়ায় তারা কর্মহীন পরিবার পরিজন নিয়ে রয়েছেন কষ্টে। শুধু রিপন আর আয়নাল হয় তাদের মতো হাজার হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পাড় করছেন কষ্টের দিন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্ বলেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর পূর্নবাসন করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে ( শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) ব্রহ্মপুত্রের পানি ৬৫ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর