কোজিকোড়ে দুর্ঘটনায় দু' টুকরো হয়ে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমানটির ব্ল্যাক বক্স এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার উদ্ধার হওয়ার সঙ্গে দুর্ঘটনার কারণ জানার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলো। বৃহস্পতিবার এই বিমান দুর্ঘটনার কারণে আঠারো জনের মৃত্যু হয়, আহত বহুজন। ভারতীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের এয়ার একসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন টিম কোজিকোড়ে বিমানের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে থেকে এই ব্ল্যাক বক্স ও ভয়েস রেকর্ডার উদ্ধার করে। এবার জানা যাবে প্লাবিত রানওয়ে, শেষ মুহূর্তে রানওয়ে বদলানো নাকি ল্যান্ডিং গিযার খারাপ হয়ে যাওয়াই দুর্ঘটনার কারণ কিনা। বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনাস্থলে যাঁরা ছিলেন তাঁরা দেখেছেন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি কিভাবে ল্যান্ডিং এর জন্য মরীয়া চেষ্টা করেছিল। শনিবার কেন্দ্রীয় সরকার দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের জন্যে কুড়ি লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষণা করেছে। কিন্তু এই অর্থ কার্যত মূল্যহীন মথুরার শর্মা পরিবারের কাছে। এই পরিবারের বত্রিশ বছরের ছেলে অখিলেশ শর্মা দুর্ঘটনায় পড়া বিমানটির কো - পাইলট ছিলেন। দুর্ঘটনায় মারা গেছেন অখিলেশ। রেখে গেছেন সন্তানসম্ভবা স্ত্রী মেঘকে। আর চৌদ্দ দিনের মধ্যে অখিলেশ - মেঘার প্রথম সন্তান ভূমিষ্ঠ হবে। মেঘাকে অখিলেশের মৃত্যু সম্পর্কে কিছু জানান হয়নি। অন্ধকারের মেঘেই এখন মেঘা, শুধু অখিলেশের অনাগত সন্তান বাবা ডাকার মত মানুষটিকে কোনোদিনই পাবে না।।