বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কমপক্ষে দেড়শ’ মানুষ মারা যাওয়ার পর রোববার পদত্যাগ করেছেন লেবাননের তথ্যমন্ত্রী মানাল আবদেল সামাদ। ওই বিস্ফোরণের পর এটাই সেখানে কোনো মন্ত্রীর প্রথম পদত্যাগ। স্থানীয় মিডিয়ায় দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি জনগণকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, বৈরুতে ভয়াবহ এই বিপর্যয়ের পর সরকার থেকে আমি পদত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছি। এর আগে পদত্যাগ করেছেন কমপক্ষে ৮ জন এমপি। ওদিকে লেবাননের ম্যারোনাইট চার্চের প্রধান এরই মধ্যে ৪ঠা আগস্টের বিস্ফোরণের জন্য পুরো সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন। বিস্ফোরণের কারণে লেবাননের মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে। শনিবার রাতে সেখানে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় দখলে নেয় বিক্ষোভকারীরা।
তবে তাদেরকে সেখান থেকে সেনাবাহিনী সরিয়ে দিলেও আবার তারা বিক্ষোভ শুরু করেছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ম্যারোনাইট প্রধান বেশারা রাই। এসব মানুষ প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াবের পুরো মন্ত্রীসভার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। তারা ওই বিস্ফোরণকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে বর্ণনা করছেন। রোববারের ধর্মোপদেশে রাই বলেছেন, একজন এমপি বা একজন মন্ত্রীর পদত্যাগই যথেষ্ট নয়। এখন পুরো লেবাননের মানুষের অনুভূতির স্পর্শকাতরতা হিসেবে এবং দায়িত্ববোধের কারণে অবশ্যই পুরো সরকারের পদত্যাগ করা উচিত। কারণ, এই সরকার দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে সক্ষম নয়।
প্রধানমন্ত্রী দিয়াব আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনের কথা বলেছেন। তার প্রতিধ্বনি তোলেন রাই। অক্টোবরে শুরু হওয়া প্রতিবাদ বিক্ষোভ থেকে দীর্ঘদিন এই আগাম নির্বাচন দাবি করা হচ্ছে। ওদিকে বিশ্বনেতা, আন্তর্জাতিক সংগঠন ও লেবাননের জনগণের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন রাই। তারা সবাই মিলে বৈরুত বিস্ফোরণের একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করছেন। তবে এমন তদন্তের দাবি শুক্রবার প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রেসিডেন্ট মিশেল আওন।