পদ্মা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ বাঁধ প্রবল স্রোতে নদীর তলদেশ থেকে জিওব্যাগ ও সিসি ব্লক সরে যাওয়ায় নড়িয়া সুরেশ্বর দরবার শরীফ হুমকির মুখে পড়েছে। নদীর ডান তীর সংরক্ষণ বাঁধ ৬০ মিটার পদ্মা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে দরবার শরীফ ও আশপাশের লোকজন নতুন করে বাড়িঘর ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। ভাঙনরোধে জরুরি আপৎকালীন কাজ সিসি ব্লক ও জিওব্যাগ ডাম্পিং ও জিও টিউব ডাম্পিং করে ফেলছে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ভাঙনস্থানে শুকনো মৌসুমে পদ্মা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ কাজের বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অপর দিকে গত দুইদিন পদ্মা নদীর পানি আবারো বাড়তে শুরু করায় শরীয়তপুরের ৪টি উপজেলার প্রায় ৩ লাখ পানিবন্দি মানুষের মধ্যেও আতঙ্কে বিরাজ করছে। পদ্মা নদীর সুরেশ্বর পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে জোয়ারের সময় বিপদ সীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সুরেশ্বর দরবার শরীফ ও আশেপাশে ভাঙন দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১২ সালে ৩টি প্যাকেজে ২৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পদ্মা নদীর ডান তীর সুরেশ্বর দরবার শরীফ ও আশপাশের এলাকা সংরক্ষণ কাজের বাঁধ ৮৫০ মিটার স্থায়ীভাবে নির্মাণ করে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবিব বলেন, বাঁধ প্রবল স্রোতে নদীর তলদেশ থেকে জিওব্যাগ ও সিসি ব্লক সরে যাওয়ায় সুরেশ্বর দরবার শরীফ সংরক্ষণ কাজের বাঁধ ৬০ মিটার পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন রোধে ৮৭ হাজার ৫০০ জিওব্যাগ ৪ (চার) হাজার সিসি ব্লক ডাম্পিং করা হয়েছে।
জিও টিওব ৫০টি ডাম্পিং কাজ চলমান রয়েছে। শুকনো মৌসুমে স্থায়ী পদ্মা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ করা হবে। তিনি আরো বলেন ৮৫০ মিটার সংরক্ষণ কাজের ৩০০ মিটার ঝুঁকিপূর্ণ। তবে সুরেস্বর দরবার শরীফ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়াতে নতুন করে ৮৫০ মিটারের জন্য ৪৮ কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।