× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হাওরের পানিতে ডুবে শিক্ষকের মৃত্যু খোঁজ মেলেনি কলেজছাত্রের

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
১০ আগস্ট ২০২০, সোমবার

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের হাওরে বেড়াতে গিয়ে পানিতে ডুবে মো. হাদিউর রহমান রুবেল (৩৫) নামে এক কলেজ শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় একরামুল ইসলাম (২০) নামে আরেক কলেজছাত্র নিখোঁজ হয়েছেন। চামড়াঘাট নৌ-পুলিশ কলেজ শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করলেও কলেজছাত্রকে খুঁেজ পায়নি। শনিবার সন্ধ্যার দিকে জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার হাসানপুর সেতুর পাশের হাওরে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত হাদিউর রহমান রুবেল কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চরপক্ষিয়া গ্রামের শামসুল ইসলামের ছেলে। তিনি টাঙ্গাইলের সখীপুর সরকারি মহিলা কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। নিখোঁজ একরামুল ইসলাম একই গ্রামের কাইমুল ইসলামের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ছাত্র।
তাঁরা সম্পর্কে চাচাতো ভাই। চামটাঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. নাজমুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাত হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়েছিল। রোববার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরিদল নিখোঁজ কলেজ ছাত্রের সন্ধান করছে। তবে বিকাল পর্যন্ত একরামকে খুঁজে পায়নি ডুবুরিরা। তিনি জানান, কলেজ শিক্ষক হাদিউর ও কলেজ ছাত্র একরামুলসহ ১৬ জন হাওরে বেড়াতে আসেন। তাঁরা সবাই উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের বালিখলা থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া করে উপজেলার সীমান্তবর্তী হাসানপুর সেতুতে যান। সেখানে সেতুর পাশের হাওরে গোসল করতে নামেন তাঁরা। সবার সঙ্গে ওই দুজনও পানিতে নামেন। তবে হাওরের ঢেউ ও স্রোতের টানে এই দুজন নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে সন্ধ্যার পরে চামটা ঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁিড় ও করিমগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে হাদিউর রহমান রুবেলকে হাওরের পানিতে থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। তবে একরামকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, এ সময় একরামের ছোটভাই দশম শ্রেণীর ছাত্র ফারহান শোভনও পানিতে তলিয়ে গিয়েছিলেন। তবে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রোববার বিকাল সাড়ে ৫টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরিরা হাসানপুর ব্রিজসংলগ্ন হাওর ও আশপাশের এলাকায় অনেক অনুসন্ধান চালিয়েও একরামের সন্ধান পায়নি। করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, কলেজ ছাত্রের সন্ধানে নৌ-পুলিশের সহযোগিতায় কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরিরা রোববার সকাল থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সন্ধান করেও তাঁকে পায়নি। তবে কলেজ শিক্ষকের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
 তাঁর মৃত্যুর বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হচ্ছে। আর নিখোঁজ কলেজ ছাত্রকে উদ্ধারে তৎপরতা চলছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর