লেবাননের বৈরুতে সংঘটিত ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০ জে পরিবহন বিমান বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে গতকাল লেবাননের রাজধানী বৈরুতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছে। সরকারের দ্রুত মানবিক ও ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। তারা জানিয়েছে, আনুমানিক ২ টন চিকিৎসা সামগ্রী, ৮ টন জরুরি খাদ্যসামগ্রী এবং ২ টন খুচরা যন্ত্রাংশ নিয়ে বিমান বাহিনীর ১২ সদস্যের এয়ার ক্রু-এর সমন্বয়ে গঠিত এই মিশনের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন শান্তনু চৌধুরী। মিশন সুসম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। মিডিয়া ব্রিফ করেন সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল মো. আবুল বাশার। আইএসপিআর জানিয়েছে, বন্ধুপ্রতিম দেশসমূহে সংঘটিত যেকোনো দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জরুরিভিত্তিতে মানবিক ও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সর্বদা বিমান পরিবহন সেবা প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৈরুতে দুর্ঘটনাকবলিত প্রবাসী বাংলাদেশি, স্থানীয় জনগণ ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যদের সহায়তা প্রদানের জন্য জরুরি চিকিৎসা সামগ্রীসহ একজন চিকিৎসক এবং নৌবাহিনী জাহাজের বাস্তব অবস্থা নিরুপণের জন্য রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি কারিগরি মূল্যায়নকারী দল বিমান বাহিনীর এই সি-১৩০জে পরিবহন বিমানের মাধ্যমে লেবাননে পাঠানো হয়। ফিরতি পথে বিমানটি কিছু প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনবে।
সি-১৩০জে পরিবহন বিমানটি আগামী ১২ই আগস্ট দেশে ফিরবে বলে আশা করা যায়।
উল্লেখ্য যে, বৈশ্বিক এই ক্রান্তিকালে একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার দুর্যোগ মোকাবিলায় মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশ ভ্রাতৃত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশের পক্ষ হতে এই সহায়তা দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা যায়।