বর্তমানে পাকিস্তান দলের সেরা ব্যাটসম্যান বাবর আজম। ভারতের বিরাট কোহলি ও অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে উঁচ্চারিত হয় তার নাম। সব ফরম্যাটে নিয়মিত পারফর্ম করে যাচ্ছেন তিনি। তবে পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার মনে করেন, ম্যাচ উইনার হলেই কেবল নাম কামাতে পারবেন বাবর আজম।

ম্যানচেস্টারে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বাবর। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে দলের প্রয়োজনে হাল ধরতে পারেননি, ৫ রান করেই আউট। ব্যাটিং ধসের পর পাকিস্তান ১৬৯ রানে গুটিয়ে যায়। প্রথম ইনিংসে ১০৭ রানের লিড পাওয়ায় ইংল্যান্ডকে ২৭৭ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছিল তারা। তবে সেটি যথেষ্ট ছিল না। ৩ উইকেটে জিতে যায় স্বাগতিকরা।

ইউটিউবের একটি শোতে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের সমালোচনা করে শোয়েব বলেন, ‘পাকিস্তানের বড় ইনিংস গড়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু তারা সেই ভুলটাই করলো যে ভুলটা তারা দেশভাগের পর (১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তানের আলাদা হওয়া) থেকে করে আসছে। ব্যাটিংটাই ডুবিয়েছে আমাদের।’

প্রথম ইনিংসে ৩২৬ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। সংগ্রহটা আরো বড় হতে পারতো বলে মনে করেন শোয়েব। তিনি বলেন, ‘আমাদের জুটি দরকার ছিল। তখনই স্ট্রোক খেলা যায়, যখন লুজ বল আসে। পাকিস্তানের জন্য ৩৫০-৪০০ রান করার সুবর্ণ সুযোগ ছিল।’

প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে ২১৯ রানে গুটিয়ে দেয় পাকিস্তান। ১০৭ রানের লিড পেয়েও সেটাকে কাজে লাগাতে না পারায় দলের স্টার ব্যাটসম্যানদের দিকে আঙুল তুলেছেন শোয়েব। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের তারকা ব্যাটসম্যানদের কেউই রান করতে পারেনি। বড় ক্রিকেটার হতে হলে, খ্যাতি অর্জন করতে গেলে সব পরিস্থিতিতেই নিজেকে মেলে ধরতে হয়। ১০৭ রানের লিড কাজে না লাগাতে পারলে কেউ যত বড় ব্যাটসম্যানই হোক না কেন, সে কোনো কাজের নয়।’

এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে বাবরের ভূমিকা নিয়ে শোয়েব বলেন, ‘বাবর আজমের উচিত ছিল ভালো কিছু উপহার দেয়া। কারণ এভাবে নাম বানানো যায় না। হতে পারো তুমি ভালো ক্রিকেটার। কিন্তু তোমাকে ম্যাচ জেতানো ক্রিকেটার হয়ে উঠতে হবে।’