জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সনেকা বেগম নামে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দিবাগতরাতে উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চরআদ্রা গ্রামে স্বামীর বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে থানা পুলিশ।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চরআদ্রা গ্রামের আফাজ উদ্দিন আদির ছেলে সোহেল রানার সাথে চর সরিষাবাড়ী গ্রামের ইনতাজ আলীর মেয়ে সনেকার দেড় বছর আগে বিয়ে হয়। বর্তমানে সে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য শশুর বাড়ীর লোকজন সনেকাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতো। ইতি মধ্যে যৌতুকের ৭০ হাজার নগদ টাকা ও এক ভরি স্বর্ণের গহনাও পরিশোধ করেছেন। রোববার রাতে স্বামী সোহেল রানা স্ত্রীকে বাড়ীতে রেখে নদীতে মাছ ধরতে যায়। সোহেলের বাবা আদির মিয়া রাত ১২টার দিকে বাহিরে বের হলে সনেকার ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান। এসময় সনেকাকে ঘরের ধর্ন্যার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে ছেলে সোহেলকে ফোন দিলে সে বাড়ীতে এসে তার স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়।
তখন সবাই মিলে তাকে মাটিতে নামায়। এ ঘটনায় এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছে।
নিহতের স্বামী সোহেল রানা বলেন, আমি রাতে মাছ ধরতে বিলে যাই। পরে বাবার ফোন পেয়ে বাড়ীতে এসে দেখি আমার ঘরের ধর্ন্যার সাথে স্ত্রী সনেকা ফাসিতে ঝুলছে। রাতেই সবাই মিলে তার মরদেহ নামিয়ে ফেলেছি। নিহত সনেকার চাচি সুইটি বেগম অভিযোগ করে বলেন, সোহেলের বাড়ী থেকে সকালে ফোন দেয় ভাতিজির স্বামী মারা গেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ভাতিজি সনেকার মৃতদেহ মাটিতে পড়ে আছে। জানতে চাইলে তারা জানান-সে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। সে আরো বলেন, বিয়ের পর থেকেই সনেকার শ^শুর বাড়ীর লোকজন যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতন করতো। এটি আত্মহত্যা নয়, হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু মো. ফজলুল করিম বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।