× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ক্রসফায়ারের হুমকি /কোতোয়ালী থানার ওসিসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) আগস্ট ১০, ২০২০, সোমবার, ৭:৫২ পূর্বাহ্ন

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ  পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেছেন সোহেল মীর নামে এক ব্যবসায়ী। মামলায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্রসফায়ার দেওয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ করেছেন তিনি। আজ ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান নোমানের আদালতে মামলাটি করেছেন ওই ব্যবসায়ী।

আদালত মামলা গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্ত করে ১৬ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলাটি তদন্ত করবেন পিবিআইয়ের সহকারি পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। মামলায় আসামিদের মধ্যে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, কোতোয়ালী থানার এসআই পবিত্র সরকার, খালিদ শেখ, এএসআই শাহিনুর রহমান, কনস্টেবল মো. মিজান ও সোর্স মোতালেব।  

মামলায় বাদী ও ভুক্তভোগী সোহেল মীর উল্লেখ করেছেন, ২রা আগস্ট বিকাল চারটার দিকে তিনি কেরানীগঞ্জ থেকে বুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে কোতোয়ালী থানাধীন ওয়াজঘাট এলাকায় নামেন। তারপর আম্বিয়া টাওয়ার সংলগ্ন মেইন রাস্তার উপর উঠামাত্র সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ সদস্যরা তার গতিরোধ করে, তাকে তল্লাশী করে।
এসময় অবৈধ কিছু না পেয়ে তার পকেট থাকা দুই হাজার ৯শ’ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বাদী তার পকেট থেকে ছিনিয়ে নেয়া টাকা ফেরত চাইলে পুলিশ তাকে মারধর করে।

এসময় রাস্তায় পথচারিরা জড়ো হলে কনস্টেবল মো. মিজান ও  ওসি মিজানুর রহমান তাদের পকেট থেকে দুই প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেট ভুক্তভোগীর হাতে ধরিয়ে মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি ধারণ করে। পথচারিদের তারা জানায় প্যাকেটগুলোতে ২১৪ পিস ইয়াবা আছে। পরে সোহেল মীরকে টানা হেচড়া করে কোতোয়ালী থানা হাজতে ঢুকিয়ে রাখে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন থানায় গেলে ওসি মিজানুর রহমান ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের জানান থানা থেকে সোহেলকে ছাড়িয়ে নিতে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে। নতুবা তাকে ক্রসফায়ারে দেয়া হবে।
পরে ভুক্তভোগীর স্ত্রী ও বোন আসামিদের দুই কিস্তিতে সাড়ে তিন লাখ টাকা দেওয়ার পর তারা সব ঘটনা আড়াল করে নন এফ আই আরে আদালতে চালান পাঠায়। পরে আসামিরাই (পুলিশ) তাকে আদালত থেকে ছাড়িয়ে আনে। ভুক্তভোগী সোহেলকে ছেড়ে দেওয়ার সময় আসামিরা (পুলিশ) হুমকি দিয়ে বলে ঘটনার বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে কিংবা কারও কাছে প্রকাশ করলে বিভিন্ন মামলায় জড়াবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর