× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সীমিত আকারে খেলাধুলার অনুমতি দিয়েছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১১ আগস্ট ২০২০, মঙ্গলবার

দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে গত ১৬ মার্চ দেশে সব ধরনের খেলাধুলা স্থগিত করার নির্দেশ দেয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। প্রথমে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করা হলেও পরে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিভিন্ন ক্রীড়া ইভেন্ট ও অনুশীলন কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। করোনাভাইরাসের কারণে ৫ মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে খেলাধুলা আয়োজন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করার অনুমতি দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, করোনার প্রভাব নিম্নমূখী হওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমিত আকারে খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করছি আমরা।
এরই মধ্যে অবশ্য দেশের শীর্ষ তিন খেলা- ক্রিকেট, ফুটবল ও হকির অনুশীলন কার্যক্রম সীমিত আকারে শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তত্ত্বাবধানে ঈদের আগে থেকেই ব্যক্তিগত অনুশীলন করছিলেন ক্রিকেটাররা। ফুটবলে বিশ্বকাপ বাছাই উপলক্ষে শুরু হয়েছে অনুশীলন ক্যাম্প। হকিতে শুরু হয়েছে অনূর্ধ্ব-২১ দলের মাসব্যাপী অনুশীলন কার্যক্রম।
আরচারি ৬ই আগস্ট ক্যাম্প শুরু করতে চাইলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অপেক্ষায় ছিল এত দিন। অনুমতি মেলার পর ১৪ আগস্ট গাজীপুর শহীদ আহসানউল্লাহ স্টেডিয়ামে সব আরচারকে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। আর ১৭ আগস্ট হবে সবার করোনা পরীক্ষা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশ পেয়ে খুশি আরচারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহম্মেদ চপল বলেন, ‘অবশেষে আমরা অনুমতি পেয়েছি অনুশীলনের। খেলোয়াড়েরা সবাই খুব খুশি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা অনুশীলন শুরু করতে চাই।’ এ প্রসঙ্গে এনএসসি সচিব মাসুদ করিম বলেন, ‘বিভিন্ন ক্রীড়া অ্যাসোসিয়েশন ও ফেডারেশন আমাদের জানিয়েছে যে তারা খেলা শুরুর জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত। বিষয়টি আমরা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছিলাম। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনের জন্য বিষয়টা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সেই অনুমতি আমরা পেয়ে গেছি। খুব দ্রুত আমরা এ সংক্রান্ত নির্দেশনার কথা সব ফেডারেশনকে জানিয়ে দেব। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া কোভিড-১৯-এর সব রকমের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই খেলোয়াড়েরা মাঠে নামতে পারবে।’ এর আগে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খেলা ও অনুশীলন শুরুর অনুমতি দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এতে ক্রীড়াবিদদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ১০টি শর্ত জুড়ে দিয়েছে তারা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- আপাতত সীমিত আকারে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও খেলাধুলার আয়োজন করা যেতে পারে। তবে খেলাধুলা শুরুর আগে খেলার মাঠ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মহামারি প্রতিরোধ সরঞ্জাম যেমন মাস্ক, গ্লোভস, জীবাণুনাশক এবং নন কন্ট্যাক্ট ইনফ্রারেড থার্মোমিটার সংরক্ষণ করে সংক্রমন প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রন কাজের পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক, ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং খেলাধূলা সংশ্লিষ্ট সকলের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ক্যাম্প শুরুর আগে প্রয়োজনবোধে সবার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে।
আবাসিক প্রশিক্ষণকালীন সময়ে অনুশীলন, খাবার গ্রহণ ও ঘুমের সময় দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলতে হবে। খেলা ও প্রশিক্ষণের সময় ব্যক্তিগত তোয়ালে ও পানির বোতল ব্যবহার করতে হবে। মাঠে দর্শকদের প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে এক মিটারের বেশি দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং মাঠে পাশাপাশি দু’জন দর্শকের মধ্যে একটি সিট খালি রাখতে হবে। মাঠে খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক ও ম্যানেজমেন্ট কমিটির সবার জ্বর মাপতে হবে। তাদের শরীরের তাপমাত্রা ৯৮.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলে সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পাঠাতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর