নিজের সৎকারের দু’দিন পরে ফিরে এলেন ‘মৃত’ আহমেদ হাসান। স্ত্রী'র সঙ্গে কথা কাটাকাটির পরে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। অন্য ব্যক্তির মৃতদেহের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলল পরিবার। সৎকার করার পর ফিরে এলেন আসল ব্যক্তি। রবিবার ঘটনাটির কথা জানাল পুলিশ।
কানপুরের কর্নেলগঞ্জে এই অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটে গেল। চাকেরি থানায় এক মহিলা নাগমা তাঁর স্বামীর নামে মিসিং ডায়েরি করেন। তার দু’দিন আগে (২ আগস্ট) তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হওয়ায় তাঁর স্বামী বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ৫ আগস্ট পুলিশ একটি মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য ওই পরিবারকে তলব করেন।
আহমেদ হাসানের ভাই মৃতদেহটি তাঁর দাদার বলে ঘোষণা করেন। তারপর ওদিনই সৎকারও হয়ে যায় সেই দেহের। দু’দিন পরে ৭ তারিখ হাসান ফিরে আসেন। বাড়ি ফিরে দেখেন, বাড়িতে তালা লাগানো। প্রতিবেশীরা তাঁকে চিনতে পেরে পুলিশের কাছে নিয়ে যান। পুলিশের কাছে গিয়ে তিনি জানান, ‘আমার স্ত্রী'র সঙ্গে আমার ঝামেলা হয়েছিল। বাড়ি ছেড়ে দিয়েছিলাম। রাস্তায় একজন লোকের সাহায্যে একটি কারখানায় কাজের সুযোগ পাই। দু’দিন পরেই কাজের জন্য টাকা পাই। সেটা নিয়ে বাড়ি ফিরি। দেখি বাড়ি তালা দেওয়া। প্রতিবেশীরা আমায় চিনতে পারেন। আমি জানলাম যে আমাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে। আমি ভেবে একটি মৃতদেহের সৎকারও করা হয়েছে।’ পরে নাগমা তাঁর বয়ানে বলেন, ‘ছোট্ট একটি কারণে আমাদের ঝগড়া হয়। তিনি রেগে গিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। দু’দিন পরেও না ফিরলে পুলিশে রিপোর্ট করি আমরা। একটি মৃতদেহ শনাক্ত করতে দেওয়া হয়। আমার স্বামীর সঙ্গে মুখের মিল ছিল সেই ব্যক্তির। যদিও আমার খানিক সন্দেহ হচ্ছিল। কিন্তু আমার স্বামীর ভাই নিশ্চিত করে জানান যে ওটি তাঁরই দেহ। কিন্তু এখন যখন দেখলাম, তিনি বেঁচে আছেন, আমরা সবাই খুব খুশি।’
কানপুরের এসএসপি প্রীতিন্দর সিং জানালেন, এখন তাঁদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, যে ব্যক্তিকে দাহ করা হয়েছে, তাঁর আসল পরিচয় জানার। তাঁর পরিবারকে খবর দেওয়া। বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য হাসানের পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। যেহেতু তাঁরা বিভ্রান্ত হয়ে এই কাজটি করেছেন। এখন জানতে হবে, ময়নাতদন্তের সময়ে দেহের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছিল কিনা।
সূত্র- আজকাল