সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের দক্ষিণ পাশ ধ্বসে যাচ্ছে। এখনও পুরো কাজ শেষ হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদাররা কাজও বুঝিয়ে দেননি। এ নিয়ে সংবাদ ও সামাজিক যেগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে। এ অবস্থায় সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ও মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শন করেছেন। অথচ ঠিকাদাররা বেশির ভাগ বিল উত্তোলন করে নিয়েছে। কিভাবে এ ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সড়কের ধল্লার ভাষা শহীদ রফিক সেতু থেকে মানিকগঞ্জ জেলা সদর পর্যন্ত ৩১ কি:মি: রাস্তা ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ আঞ্চলিক মহাসড়কে রুপান্তরের জন্য একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়। ব্যয় ধরা হয় প্রায় ২৫৪ কোটি টাকা। সড়কটি নির্মাণে ৫টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়োজিত ছিল। শুরুতেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কাজের অনিয়মের অভিযোগ উঠে।
সড়কটি নির্মাণে ছিল না কোন দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা। অপরিকল্পিত ভাবেই এ সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আর তার ফলে শুধু ফাটল কিংবা ধ্বস নয়, এ সড়কে এখন প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়ক নির্মাণের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে অনেকের। ইতিমধ্যে এ সড়ক এখন মরন ফাঁদ সড়ক হিসেবে আখ্যায়িত পেয়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য কহিনুর ইসলাম সানী জানান, অনিয়মের মধ্য দিয়েই এ সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সড়কে বন্যার ছোঁয়া লাগেনি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোর পুকুরচুরি দুর্নীতি এবং মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়সারা দায়িত্ব পালনের কারণেই এমনটি হয়েছে। ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গাওসুল হাসান মারুফ সংবাদ কর্মীদের জানান, ৩১ কি:মি: সড়কের ৩০ শতাংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে যাতে এ সমস্যার সমাধান হয়, আমরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি। সড়কে দুর্নীতি হয়েছে এমন কথা তিনি অস্বীকার করেন।