× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে চসিক নির্বাচন

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
(৩ বছর আগে) আগস্ট ১১, ২০২০, মঙ্গলবার, ৫:১০ পূর্বাহ্ন

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে নির্বাচন স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) প্রশাসক নিযুক্ত হয়েছেন সবে মাত্র। আর এরই মধ্যে চসিক নির্বাচন নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হচ্ছে নতুন বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এই নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই ইসি। এমনটাই জানিয়েছেন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান। তিনি বলেন, নিযুক্ত প্রশাসকের ১৮০ দিনের মেয়াদ শেষ হবে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। সে হিসেবে প্রশাসকের মেয়াদ শেষ হওয়ার অন্তত এক মাস আগে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায় নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে জানুয়ারির শুরুর দিকেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ভাবনা মাথায় রেখে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তাদের মতে নির্বাচন করতে সবমিলিয়ে ১০ দিন সময় লাগবে।
কারন এ নির্বাচনে নতুন করে কোন তফসিল ঘোষণা করা হবে না। আগের প্রার্থীরাই বহাল থাকবে। তিনি বলেন, ইসির নির্দেশনা মোতাবেক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন যে পর্যায়ে স্থগিত করা হয়েছিল সেখান থেকেই আবার শুরু করা হবে। আগে যারা বৈধ প্রার্থী ছিলেন তারাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নতুন করে কাউকে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। অবশ্য এর মধ্যে কোনো প্রার্থী মারা গেলে ওই পদে আবার তফসিল দিতে হবে। সেক্ষেত্রে সাধারণ নির্বাচনের মতোই মনোনয়নপত্র দাখিল বা ফাইলসহ সব প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। গত ২৯শে মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে শেষ মুহূর্তে ওই নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এমন অবস্থায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আর ভোট করাও সম্ভব হয়নি। গত ৫ই আগস্ট মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেন। ঘোষিত তফসিল মতে, ২৯শে মার্চ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই শেষে ৯ই মার্চ প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটের মাঠে ছিলেন প্রার্থীরা। কিন্তু করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর চসিক নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা দলবল নিয়ে প্রচার-প্রচারণা প্রচুর লোকের সমাগম হয়ে আসছিল। এমন নাজুক পরিস্থিতিতে গত ২১শে মার্চ চসিক নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। তবে ২১শে মার্চ যেসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত করা হয় সে সময় চট্টগ্রামে কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৩ এপ্রিল। এদিকে নির্বাচন স্থগিতের মধ্যেই ১ জন কাউন্সিলর, ১ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও একটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী করোনায়া আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এই তিন ওয়ার্ডে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন, কাউন্সিলর পদে ১৬৩ জন ও মহিলা কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। এরমধ্যে মেয়র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত এম রেজাউল করিম চৌধুরী নৌকা প্রতীক, বিএনপির মনোনীত ডা. শাহাদাত হোসেন ধানের শীষ প্রতীক, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন মিনার প্রতীক, তৃণমূল এনডিএমের চেয়ারম্যান খোকন চৌধুরী স্বতন্ত্র পদে হাতি প্রতীক, এনপিপির আবুল মনজুর আম প্রতীক, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ চেয়ার প্রতীক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম হাতপাখা প্রতিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর