সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় উধুনিয়া দাখিল মাদ্রাসায় নিয়মিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত না করে বিধি-বহির্ভূতভাবে মাদ্রাসা পরিচালনার এডহক কমিটি গঠন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির নির্বাচিত অভিভাবক সদস্যদের পক্ষে আব্দুর রহিম নামের এক অভিভাবক হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। আব্দুর রহিম জানান, সরকারি বিধি মোতাবেক উধুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। মাদ্রাসা সুপারের আবেদনের পেক্ষিতে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোসলেম উদ্দিন উক্ত নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার নিযুক্ত হন। তিনি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির নির্বাচনের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে মাদ্রাসা সুপার ওসমান গণি বিধি মোতাবেক নির্বাচিতদের নিয়ে কমিটির সভাপতি গঠনের প্রক্রিয়া না করে টালবাহানা শুরু করেন। আমরা নির্বাচিতদের মধ্যে থেকে একজনকে সভাপতি বানানোর মতামত প্রকাশ করি। সুপার নির্বাচিতদের মতামত না মেনে অবৈধ্যভাবে নির্বাচিত কমিটির সদস্যদের বাদ দিয়ে গোপনে এডহক কমিটি গঠনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ায় নির্বাচিতদের পক্ষে আমি আদালতে মামলা করি।
মাদ্রাসা সুপার ওসমান গণি জানান, সরকারি বিধি মোতাবেক প্রিজাইডিং অফিসার গত ১৬ই মার্চ মাদ্রাসার নিয়মিত পরিচালনা কমিটির নির্বাচিত সকল সদস্যেদের নামের চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করেন। কমিটির সভাপতি নির্বাচন করতে গেলে দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব বেধে যায়। ফলে পুনরায় এডহক কমিটি গঠনের আবেদনে গত ২৯শে জুলাই অনুমতি পাই। নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোসলেম উদ্দিন জানান, যথাযথ নিয়ম মেনে উধুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়। পরবর্তীতে করোনার প্রাদুর্ভাব ও নির্বাচিতদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ থাকায় কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শফীউল্লাহ জানান, মহামান্য হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সম্পন্ন হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।