১১ বছর ধরে টেস্ট খেলার অপেক্ষায় ফাওয়াদ আলম। দলে থাকলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যানচেস্টারে সিরিজের প্রথম ম্যাচে একাদশে সুযোগ মেলেনি তার। আগামীকাল সাউদাম্পটনে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নামছে পাকিস্তান। এ ম্যাচে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফাওয়াদকে নেয়া উচিত বলে মনে করেন সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম।
ম্যানচেস্টারের উইকেট স্পিন সহায়ক ছিল বিধায় দুই লেগস্পিনার নিয়ে খেলতে নামে পাকিস্তান। স্পেশালিস্ট লেগি ইয়াসিরের সঙ্গে জুটি বাঁধেন শাদাব খান। ইয়াসির দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ (৪+৪) উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে শাদাবের শিকার ২ উইকেট, ব্যাট হাতেও ৪৫ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫ রান করলেও বল হাতে ছিলেন ব্যর্থ।
কিংবদন্তি বাঁহাতি পেসার ওয়াসিম আকরাম সাউদাম্পটনে শাদাবকে বিশ্রাম দেয়ার পক্ষে। ওয়াসিমের মনে করেন, সাউদাম্পটনের কন্ডিশন ম্যানচেস্টারের চেয়ে ভিন্ন হবে। সেখানে দুই লেগস্পিনার না খেলিয়ে একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান নিলে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ভারসাম্য আসবে। ওয়াসিম বলেন, ‘দলে একজন মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান প্রয়োজন। ফাওয়াদ সেই জায়গাটা পূরণ করতে পারে। সে বাঁহাতি বিধায় দলে ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন পাবে টিম। প্রথম শ্রেণিতে তার ব্যাটিং গড় ৫৬। টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি রয়েছে। কাজেই তাকে সুযোগ দেয়া উচিত। আমি অধিনায়ক হলে তাকে মিডল অর্ডারে নিতাম।’ পাকিস্তানের প্রধান কোচ ও নির্বাচক মিসবাহ উল হক অবশ্য একাদশে পরিবর্তনের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে যাননি। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেব।’
২০০৯-এ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ফাওয়াদের। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসেই ১৬৮ রান করে আলোচনায় এসেছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর আর দুই ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন এ বাঁহাতি। সেই বছরের নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ডানেডিন টেস্টের পর বাদ পড়েন ফাওয়াদ। জাতীয় দলের হয়ে ৩৮টি ওয়ানডে ও ২৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। ৩৪ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান শেষবার পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডে খেলেছিলেন ২০১৫তে। টি-টোয়েন্টি আরো আগে, ২০১০ সালে।