করোনার প্রভাবে ভেস্তে গেছে ক্রিকেটের বেশকিছু সিরিজ। তবুও আশার আলো দেখছে নিউজিল্যান্ড। করোনাকালেও পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আতিথেয়তা দিতে প্রস্তুত নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (এনজিসি)। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছেন এনজিসি’র প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইট।
টেস্ট সিরিজ খেলতে আগস্টে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল নিউজিল্যান্ডের। করোনা পরিস্থিতিতে স্থগিত হয়ে যায় সেই সিরিজ। তবে নিউজিল্যান্ডের সামনের ঘরোয়া মৌসুমে বাংলাদেশকে আতিথ্য দেয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। শুধু বাংলাদেশ নয়, সেখানে সফরের ব্যাপারে কিউই বোর্ডকে নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইট বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতির অসাধারণ উন্নতি করছি। মাত্রই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে আলাপ হলো, তারা নিশ্চিত করেছে, পাকিস্তান নিশ্চিত করেছে। অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশও সফরের কথা নিশ্চিত করেছে। তাই এখানে ৩৭ দিনের একটা ক্রিকেট সূচি দেখতে পাচ্ছি।’ সিরিজগুলোতে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) মতোই জীবাণু-সুরক্ষিত মডেল অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট। ‘বায়ো-সিকিউর’ মডেল অনুসরণ করেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি খেলছে ইংল্যান্ড। হোয়াইট আরো জানান, আসছে সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়া নারী দলকে আমন্ত্রণ জানাবেন তারা। ফেব্রুয়ারিতে স্থগিত হয়ে যাওয়া সিরিজটির বদল হিসেবে এই সময়ে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে মুখোমুখি হবে কিউই নারী দল। এ হোম সিরিজে পাঁচটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বাইরের দেশ থেকে কেউ নিউজিল্যান্ডে এলে তাকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক আইসোলেশনে পাঠানো হচ্ছে। সিদ্ধান্তটা সংক্রমণ রোধে খুবই কার্যকরী বলে জানালেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের এই কর্মকর্তা। দেশের
অভ্যন্তরীণ করোনা অবস্থা কিউইদের জন্য স্বস্তিদায়ক। ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক ইভেন্টগুলোতে দর্শকদের প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। ৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন মাত্র ২২ জন। বর্তমান ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম অনুযায়ী (এফটিপি), ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি করে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা রয়েছে নিউজিল্যান্ডের। এর মধ্যে টেস্ট সিরিজগুলো বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা নিউজিল্যান্ডের। আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার কথা শুধু টি-টোয়েন্টি সিরিজ।