চাঁপাই নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের বিনোদপুরে ভিজিএফের ৫১ বস্তা চাল চেয়ারম্যান-মেম্বার কর্তৃক আত্মসাতের চেষ্টাকালে গুদামঘরে তালা দিয়েছেন স্থানীয়রা। বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদনও করেছেন তারা। ঘটনাটি ঘটেছে শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউপি পরিষদে। জানা গেছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিনোদপুর ইউনিয়নের দুস্থ ও অসহায়দের জন্য বরাদ্দকৃত চালের মধ্যে ৫১ বস্তা চাল সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা বিতরণ না করে আত্মসাতের চেষ্টা করেন। বিষয়টি জানতে পেরে চালের গুদামে তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দেন স্থানীয়রা। এর পরও ৫১ বস্তা চালের মধ্যে কৌশলে ২২ বস্তা সরিয়ে নিয়েছে। এখন ২৯ বস্তা চাল গুদামে আছে। যা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিলগালা করা হয়েছে।
বিনোদপুর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও বর্তমান সভাপতি রুহুল আমীন বলেন, ভিজিএফের চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। নতুন কোনো তালিকা তৈরি না করে গত তিন বছর আগের তালিকা অনুযায়ী চাল বিতরণ করছে। স্লিপে কোনো নাম না থাকায় একজনের চাল অন্যজন পাচ্ছে। ভিজিএফের চাল নিয়ম অনুযায়ী ১০ কেজি করে দেয়ার কথা থাকলে, ঊর্ধ্বে সাড়ে ৯ কেজি ও নিম্নে ৭ কেজি করে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ভিজিএফের চাল ঈদের আগে বিতরণের নির্দেশনা থাকলেও তা এখন পর্যন্ত গুদামে রয়েছে। এ ব্যাপারে বিনোদপুর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান জামিল উদ্দিন মাস্টার জানান, চালের পরিমাণ ৫১ বস্তা নয়, ২৯ বস্তা। তার মধ্যে ৮ বস্তা ভিজিডির চাল। চালগুলো উদ্বৃত্ত ছিল। যা গরিব-দুঃখীদের মাঝে বিতরণ করার জন্য রেখে দেয়া হয়েছে। কিন্তু কারণবশত একটু দেরি হয়েছে। এ চলা আত্মসাতের প্রশ্নই ওঠে না।
ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হকের সঙ্গে ০১৭১১-৪১৫৫৮৩ নম্বরে ফোন দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাকিব আল রাব্বী জানান, আমি জেনেছি বিতরণ শেষে কিছু চাল উদ্বৃত্ত আছে। যা গরিব দুঃখীদের মাঝে বিতরণ হতো। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝির কারণে সেটি হয়নি। তিনি আরো জানান, ঘটনাটি সঠিক তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।