× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাতিল হতে পারে পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১২ আগস্ট ২০২০, বুধবার

দেশের চলমান করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও  জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা নাও হতে পারে। একইভাবে বাতিল হতে পারে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী (ইইসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। এই পরীক্ষা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের উপস্থিতিতে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবের একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
করোনার প্রকোপে ১৭ই মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একাধিকবার বন্ধের তারিখ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত। এই সময়ে অব্যাহত রাখা হয়েছে সংসদ টেলিভিশন এবং অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম। জানা যায়, এই বোর্ড পরীক্ষা না হলেও পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে। এই ফলের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের একটি অংশকে মেধাবৃত্তি দেয়ার চিন্তা করছে সরকার।
এছাড়াও জানা যায়, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে এই দুই স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে। আর পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে। আর এক্ষেত্রে পূর্বের শ্রেণির অত্যাবশ্যকীয় পাঠ পরের শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এজন্য জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ‘কারিকুলাম ম্যাপিং’ করে দেবে। এ লক্ষ্যে আজ থেকে এনসিটিবি’তে কারিকুলাম বিশেষজ্ঞদের বৈঠক শুরু হবে। আবার এদিকে কয়েকদিন থেকেই ময়মনসিংহে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিতে (নেপ) বিশেষজ্ঞদের বৈঠক চলছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষার সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কোনো প্রকার ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে তবেই তারা স্কুলে যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি একাধিকবার বৃদ্ধি পাওয়ায় বিকল্প হাতে রেখে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা তৈরির কাজ চলছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, করোনায় শিক্ষায় ক্ষতি পূরণে বিশেষ করে সামনে কোন মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে সে সংক্রান্ত একটা খসড়া প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। এই মতামতকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। আর করোনায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কাজ করছে এনসিটিবি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর