× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আলাপন /জীবনের বাঁকবদল হয়তো এভাবেই হয় - এটিএম শামসুজ্জামান

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
১২ আগস্ট ২০২০, বুধবার

কিংবদন্তি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। বড় এবং ছোট দুই পর্দা কাঁপানো এক অভিনেতা। একাল সেকাল সব সমসময়ই দর্শকপ্রিয়তায় রয়েছেন। অভিনয়ের জন্য এক ক্যারিয়ারে পেয়েছেন বহু পুরষ্কারও। এখন শারীরিক অসুস্থতার কারণে অভিনয় থেকে সাময়িক দূরে রয়েছেন। তবে আজ একজন এটিএম শামসুজ্জামান দর্শকের ভালোবাসার কারণেই হতে পেরেছেন বলে মনে করেন তিনি। এ অভিনেতা বলেন, চলচ্চিত্রে কখনও গ্রাম্য মাতব্বর, কখনওবা দুষ্টু লোক কিংবা গতানুগতিকের বাইরে অন্য ধারার কমেডি চরিত্রে অভিনয় করেছি। যখনই যে চরিত্র নিয়ে হাজির হয়েছি, তাতে দর্শকরা বেশ সাড়া দিয়েছেন।
চলচ্চিত্র পরিচালনা, অভিনয়, কাহিনি, চিত্রনাট্য ও গল্প লিখেছি। সব ছাপিয়ে অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানকে দর্শক বেশি ভালোবেসেছে- এটাই বা কম কিসে। জীবনে অনেক কিছু হওয়ার ইচ্ছে ছিল এটিএম শামসুজ্জামানের। বাবা চেয়েছিলেন যেন ছেলে আইনজীবী হয়। কিন্তু ছেলের  ইচ্ছে ছিল লেখক হতে। কোনোটাই হতে পারেননি। অভিনেতা হওয়ার খবরে এটিএম শামসুজ্জামানকে  তার বাবা বাড়ি ছাড়া করেছিলেন। তিনি বলেন, এক জীবনে অনেক কিছু হতে চেয়েছিলাম। জীবনের বাঁকবদল হয়তো এভাবেই হয়। নইলে পরিচালক থেকে অভিনেতা হলাম কেমন করে! অথচ পরিচালনার সূত্র ধরেই আমার অভিনয়ে আসা। এটিএম শামসুজ্জামান আরো বলেন, চেয়েছিলাম লেখক হতে। কিন্তু বাবা উকিল বানাতে চেয়েছিলেন। অভিনয় শুরুর পর বাবা আমাকে বাড়ি থেকে বেরই করে দিলেন। তখন পাশের গলির জাফরান ভাইয়ের বাসায় থাকতাম। ওনার মা আমাকে খুব ভালোবাসতেন। পরে অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার আগে জাফরানের মা মারা যান। খুব কেঁদেছিলাম। অভিনয়ের পেছনে জাফরানের মায়ের ভূমিকা কখনোই ভুলতে পারব না। আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছিলেন। ক্যারিয়ারে অনেকের সঙ্গে কাজ করেছেন এটিএম শামসুজ্জামান। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে প্রয়াত নায়করাজ রাজ্জাকের সঙ্গে কাজ করে। এ অভিনেতা বলেন, রাজ্জাক সাহেবের সঙ্গে কাজ করে বেশ ভালো লেগেছে। তার সংলাপ ডেলিভারি খুব ভালো ছিল। পরিষ্কার-পরিছন্ন। আমার ভালো লাগতো। সহশিল্পী যদি ভালো খেলোয়াড় না হয় তার সঙ্গে খেলা জমে না। রাজ্জাক সাহেবের সবচেয়ে বড় গুণ বাংলা খুব সুন্দর করে বলতেন। শুনতে ইচ্ছে করতো। ফেরদৌসকেও আমার মোটামুটি ভালো লেগেছে। তার ডেলিভারি খুব স্বাভাবিক।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর