× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিবিআই তদন্তে রিয়ার আপত্তি কোথায়, জানতে চাইলো কোর্ট

বিনোদন

বিনোদন ডেস্ক
১২ আগস্ট ২০২০, বুধবার

অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে নিজেই এক সময়ে সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলেন। তা হলে এখন সিবিআইয়ের তদন্ত উচিত হবে না কেন— অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবীর কাছে এ কথা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতে রিয়ার আইনজীবী আর্জি জানিয়েছেন, তার মক্কেলের বিরুদ্ধে পটনায় যে এফআইআর হয়েছে, তা মুম্বইয়ে পাঠানো হোক। শীর্ষ আদালত কোনও ফয়সালা শোনায়নি, রায় স্থগিত রেখেছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে সব পক্ষের বক্তব্য লিখিত ভাবে জানাতে হবে। সে দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি।
দিল্লিতে যখন আইনি লড়াই চলছে, তখন গতকাল দুপুরে মুম্বইয়ে ইডির দফতরে পৌঁছন সুশান্তের বোন মিতু সিং। মুম্বই পুলিশ তাঁকে পাঁচ বার ডাকলেও উপস্থিত হননি মিতু। তবে সুশান্তের পরিবারের সদস্য হিসেবে তাকেই প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি।
সূত্রের খবর, রিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সে ব্যাপারে মিতুর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। সুশান্ত ও রিয়ার প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদী ও তাদের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানিকেও আজ জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডির তদন্তকারীরা।
ইডি সূত্রের আরও খবর, রিয়ার দু’টি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হেফাজতে নেওয়া হয়েছে তার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী ও ভাই শৌভিকের ফোনও। তাদের পরিবারের দু’টি ল্যাপটপ ও দু’টি আইপ্যাডও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, রিয়ার কল রেকর্ড খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের আদালতে আইনজীবী মারফত রিয়া বলেছেন, তিনি সুশান্তকে ভালবাসতেন। তার মৃত্যুর পরে মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে ছিলেন। কিন্তু তাকেই এখন পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে। রিয়ার আইনজীবী শ্যাম ডিভান অভিযোগ করেন, সুশান্তের বাবা প্রভাবশালী আত্মীয়দের মাধ্যমে রিয়াকে এই মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করছেন। মহারাষ্ট্র ও বিহার সরকার পরস্পরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করেছে। মহারাষ্ট্রের বক্তব্য, সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করার কোনও অধিকার বিহার পুলিশের নেই। মহারাষ্ট্রের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, বিহারের ভোট হয়ে গেলে এই মামলা নিয়ে উৎসাহ দেখাবে না তারা। বিহারের আইনজীবীর পাল্টা অভিযোগ, রাজনীতির কারণেই মহারাষ্ট্র পুলিশ সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে এফআইআর করতে পারেনি।
রিয়ার আইনজীবী বলেন, বিহার পুলিশ এফআইআর করার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্থ ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারই এমন পদক্ষেপ করতে উৎসাহ দেন। পাশাপাশি, মুম্বই পুলিশ সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে ৫৬ জনের বয়ান নিয়ে তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়েছে বলেও শীর্ষ আদালতে যুক্তি দিয়েছেন তিনি। বিহার সরকারের পাল্টা যুক্তি, মুম্বই পুলিশ কোনও এফআইআর দায়ের করেনি। এফআইআর রয়েছে একমাত্র বিহার পুলিশেরই। ফলে সেটিই গ্রাহ্য। কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, এই মামলার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতেই থাকা উচিত।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর