শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনের সভাপতি ও মহাসচিব দ্বন্দ্বে বেসামাল অবস্থা শুটারদের। ফেডারেশনের শীর্ষ দুই কর্তার দ্বন্দ্বের জেরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পর্যন্ত যেতে হয়েছে শুটারদের। এই অবস্থা থেকে শুটারদের বাঁচাতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। গতকাল এই কমিটি তাদের তদন্তের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। জানা গেছে, এই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে শিগগিরই শুটিংয়ে অ্যাডহক কমিটির ঘোষণা দেবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। একটি সূত্রে জানা গেছে, মহাসচিবকে পদে বহাল রেখেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এই অ্যাডহক কমিটি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনের সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এবং মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপুর শীতল সম্পর্কটা স্পষ্ট হয় সম্প্রতি। এই দুই কর্মকর্তার রেষারেষির বলি হচ্ছিলেন শুটাররা।
বিদেশ থেকে অস্ত্র আনার ব্যাপারে এনবিআর-এ সাক্ষাৎকার দিতে হয়েছে শুটারদের। কমনওয়েলথ গেমসে রৌপ্য জয়ী শুটার আবদুল্লাহ হেল বাকি এর আগে বলেন, ‘নিজেদের টাকা দিয়ে অস্ত্র কিনেছিলাম। ফেডারেশন আমাদের এই অস্ত্র আনতে সহায়তা করেছে। অথচ তাদের কারণেই আমাদের এখন কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য অপমানের।’ তাছাড়া ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। যেখানে সভাপতি ও মহাসচিব দু’জনের বিরুদ্ধে অসঙ্গতি খুঁজে পান কমিটির সদস্যরা। মিডিয়াতেও নানা সংবাদ এসেছে দু’জনের বিপক্ষে। ফলে শুটিংয়ের কর্তাদের দ্বন্দ্বের সত্যতা যাচাইয়ে গত ৩০শে জুলাই পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) শাহ আলম সরদারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। আইন কর্মকর্তা এসএম কবিরুল হাসান ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক কমিটির অন্য দুই সদস্য। সাত কর্মদিবসের মধ্যে এই তদন্ত কমিটিকে মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরের যাচাই বাছাই করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়। বুধবার সেই রিপোর্ট জমা পড়ে ক্রীড়া পরিষদে।