× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

৬৫ বছরের মধ্যে বৃটেনে জিডিপি’র সবচেয়ে বড় পতন

প্রথম পাতা

মানবজমিন ডেস্ক
১৩ আগস্ট ২০২০, বৃহস্পতিবার

২০০৮ সালের আর্থিক সংকট বা অর্থনৈতিক মন্দার পর প্রথমবারের মতো মন্দার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে বৃটেন। জুনে সমাপ্ত তিন মাস মেয়াদে সেখানে জাতীয় প্রবৃদ্ধির পতন হয়েছে শতকরা ২০.৪ ভাগ। এ তথ্য দিয়েছে, ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস অফিস। এতে বলা হয়েছে, ১৯৫৫ সালে প্রথম কোয়ার্টারলি বা তিন মাস অন্তর জিডিপি’র রেকর্ড রাখা শুরু হয়। সেই রেকর্ডের তুলনায় এটাই বৃটেনে জিডিপি’র সবচেয়ে বড় পতন। অর্থাৎ কমপক্ষে ৬৫ বছরের মধ্যে এটাই বৃটেনে সবচেয়ে বড় আর্থিক পতন। এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন গার্ডিয়ান।
এতে বলা হয়, বছরের প্রথম কোয়ার্টারে বৃটেনে শতকরা ২.২ ভাগ জিডিপির পতন হয়েছে। মার্চে সেখানে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এর ফলে এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকার দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করে। এ অবস্থায় সেখানে জিডিপির পতন হতেই থাকে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পরপর দুই কোয়ার্টারে জিডিপির পতনকে টেকনিক্যাল অর্থে মন্দা বলে আখ্যায়িত করা হয়। তবে জুনে এসে অর্থনীতি কিছুটা পুনরুদ্ধারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বৃটেন। কারণ, এ সময়ে আস্তে আস্তে লকডাউন শিথিল করা হয়। ওই এক মাসে জিডিপি বৃদ্ধি পায় শতকরা ৮.৭ ভাগ। এটা ছিল প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুতগতির। এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের ডেপুটি পরিসংখ্যানবিদ জোনাথন অ্যাথো বলেছেন, জিডিপির কোয়ার্টারলি রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর সবচেয়ে বড় মন্দায় পড়েছে বৃটেন। এর জন্য দায়ী করোনাভাইরাস মহামারি। তিনি বলেন, জুনে এসে দোকানপাট খুলে দেয়ায় এ অবস্থা থেকে ফিরে আসা শুরু করেছে দেশ। কারখানাগুলোতে উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবুও ভাইরাস সংক্রমণের আগে ফেব্রুয়ারিতে অর্থনীতি যে অবস্থায় ছিল সেখানে ফিরে যেতে অনেকটা সময় লাগবে।
একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় প্রবৃদ্ধি পতনের শতকরা হার ছিল ১০.৬ ভাগ। সে তুলনায় বৃটেন পিছিয়ে পড়েছে দ্বিগুণ। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে বৃটেনের জিডিপির পতন ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির চেয়েও কম। তবে কানাডা ও জাপান এখনো দ্বিতীয় কোয়ার্টারের জিডিপির হিসাব দেয়নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর