× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দাবি ডিইউজের

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) আগস্ট ১৩, ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৮:২১ পূর্বাহ্ন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং এই আইনে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দাবি জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজে (একাংশ)। বৃহস্পতিবার ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের এক সভায় এ দাবি জানানো হয়। সভায় ডিজিটাল কালো আইন পাসের দিন ‘১৯ সেপ্টেম্বর মুক্ত সাংবাদিকতার অন্তর্ধান দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাংবাদিক সমাজ এখন থেকে প্রতি বছর এ দিবসটি পালন করার কথা জানানো হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, করোনাকালে যেখানে রাষ্ট্রকে মানবিক হওয়ার কথা ছিল সেখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক নিপীড়ন আরো বেড়েছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় অব্যবস্থাপনার সমালোচনা করায় সম্প্রতি সম্পাদকসহ সাংবাদিক, লেখক, কার্টুনিষ্ট, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনা একের পর ঘটেই যাচ্ছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অবাধ ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বিনষ্ট এবং গণমাধ্যমের কর্মীদের ওপর পুলিশের ক্রমবর্ধমান নিপীড়নমূলক পদক্ষেপে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।  এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য অবিলম্বে আইনটি বাতিলের দাবিলের দাবি জানায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নে।
সভায় সাংবাদিক নেতারা আরও বলেন, গত কয়েক মাসে প্রায় ৪০ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এসব গ্রেপ্তারের ঘটনা এমন এক ভীতির পরিবেশ তৈরি করেছে, যেখানে স্বাভাবিক সাংবাদিকতার কাজও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে অন্য আইনের তুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এখন অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি ব্যবহার হচ্ছে। এর কারণ হলো, এই আইনের আওতায় পুলিশ পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তার করতে পারে এবং এই আইনের বেশির ভাগ ধারাই অজামিনযোগ্য। ফলে এই আইনে গ্রেপ্তার হওয়ার পর একজন ব্যক্তিকে কারাগারেই রয়ে যেতে হয়।
সভায় আরো বলা হয়, অন্যান্য আইনে দায়েরকৃত মামলার তুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিতৎপরতা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। শুধু সাংবাদিকরাই নয়, এ মামলা থেকে কেউ রেহাই পাচ্ছে না। সরকারের সমালোচনা করলেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সম্প্রতি রংপুর ও রাজশাহীতে দুইজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে, যাদের একজন নারী, মামলা দায়েরের পর পরই কোনো রকম তদন্ত ছাড়াই মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে কারাবন্দিদের জামিনে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। ভার্চুয়াল আদালতে ৩০ দিনে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত ৪৫ হাজার ব্যক্তির জামিন হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অভিযুক্তরা খুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ বা রাষ্ট্রদ্রোহিতার মতো ভয়ঙ্কর কোনো মামলার আসামি নন। তবুও তাদের জামিন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক, প্রবীণ সাংবাদিক আবুল আসাদ, পক্ষকাল ম্যাগাজিনের সম্পাদক ও ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল এবং দৈনিক কক্সবাজার বাণীর সম্পাদক ফরিদুল মোস্তফা খানের জামিন আবেদন বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। আমরা আবুল আসাদ, শফিকুল ইসলাম কাজল, ফরিদুল মোস্তফা খানসহ মতপ্রকাশের কারণে এই আইনে গ্রেপ্তার অন্য অভিযুক্তদের অবিলম্বে মুক্তি ও সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে নুরুল আমিন রোকন, কায়কোবাদ মিলন, শাহীন হাসনাত, ডিএম অমর, খন্দকার আলমগীর হোসাইন, আবুল কালাম, দেওয়ান মাসুদা সুলতানা,  শহিদুল ইসলাম, জেসমিন জুঁই, আবুল হোসেন খান মোহন, মো: আব্দুল হালিম, শামসুল আরেফিন, আলমগীর শিকদার, আবু বকর, আবু হানিফ ও তাসরিন প্রধান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর