× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আগুনের মৌসুম: আগস্টের ১০ দিনে ১০,০০০ আগুন অ্যামাজনে

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) আগস্ট ১৪, ২০২০, শুক্রবার, ৮:৩১ পূর্বাহ্ন

অ্যামাজনে আগুন লাগার মৌসুম শুরু হয়েছে। সরকারি বিশ্লেষণ অনুসারে, এক দশকের মাঝে সবচেয়ে ভয়াবহভাবে এবার এই মৌসুমের শুরু হয়েছে। আগস্টের প্রথম ১০ দিনের রেইনফরেস্টটিতে দেখা গেছে ১০ হাজারের বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। গত বছরের তুলনায় এই হার ১৭ শতাংশ বেশি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
ব্রাজিলিয়ান সরকারের উপাত্তের বিশ্লেষণে বেরিয়ে এসেছে যে, অ্যামাজনে গত বছরের তুলনায় এ বছর কেন্দ্রিয় সংরক্ষণের আওতায় থাকা এলাকাগুলোয় অগ্নিকাণ্ডের পরিমাণ ৮১ শতাংশ বেড়েছে। গতবছর ভয়াবহ দাবানলে শ্বাসরোধ হয়ে এসেছিল পৃথিবীর ফুসফুস খ্যাত রেইনফরেস্টটির। সৃষ্টি হয়েছিল আন্তর্জাতিক সংকট। নতুন উপাত্ত বিশ্লেষণে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে, এ বছর সে অবস্থা আরো গুরুতর হতে পারে।

পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক বেসরকারি দাতব্য সংস্থা গ্রিনপিস ব্রাজিলের জ্যেষ্ঠ বন বিষয়ক ক্যাম্পেইনার রমুলো বাতিস্তা বলেন, এই অবস্থার জন্য ব্রাজিল সরকারের পরিবেশ বিষয়ক নীতিমালা সরাসরি দায়ী।
গত বছরের তুলনায় এ বছর মৌসুমের শুরুতে বেশি আগুন দেখা গেছে।

ব্রাজিলে অ্যামাজন ধ্বংস চলছেই। ব্রাজিলের উগ্র-ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর সরকার এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের নীতিমালা এ ধ্বংসযজ্ঞ আরো উস্কে দিয়েছে। চলমান পরিস্থিতি বহু ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারিদের উদ্বেগে ঠেলে দিয়েছে। ব্রাজিলের বৃহত্তম ব্যাংক ইতাও ইউনিবাঙ্কোর সিইও ক্যান্দিদো ব্যাচার বলেন, এটা খুবই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। নিশ্চিতভাবেই অ্যামাজন নিয়ে সরকারের পরিবেশ বিষয়ক নীতিমালা কাজ করছে না।

গত জুলাইয়ে বলসোনারো সরকার ১২০ দিনের জন্য অ্যামাজন ও পান্তানাল অঞ্চলে আগুন জ্বালানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। ওই অঞ্চলগুলোয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটে। গত মঙ্গলবার উগ্র-ডানপন্থি বলসোনারো গত মঙ্গলবার ভুয়া দাবি করেন যে, অ্যামাজনে আগুন লাগার ঘটনা বৃদ্ধির খবর মিথ্যা।
বলসোনারোর প্রশাসন শুরু থেকেই অ্যামাজনে আগুন ও বন ধ্বংস নিয়ন্ত্রণে চরমভাবে ব্যর্থ হয়ে আসছে। গত মে মাসে বিশাল পরিসরে সেনা মোতায়েন করে একটি সংরক্ষণ অভিযান চালুর ঘোষণা দিলেও তা খুব একটা কার্যকর হয়নি। অপারেশন গ্রিন ব্রাজিল নামের ওই অভিযানটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেনারেল হ্যামিল্টন মৌরাও। এর আওতায় হাজার হাজার সেনা সদস্য মোতায়েন হয়েছে বন রক্ষায়। এখন অবধি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে ২৮ হাজার ১০০ কিউবিক মিটার বনাঞ্চল। জরিমানা করা হয়েছে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ডলারের বেশি।

ব্রাজিলের স্পেস রিসার্চ ইন্সটিটিউট অনুসারে, গত বছরের তুলনায় এ বছরের জুলাইয়ে অ্যামাজনে আগুনের পরিমাণ ২৮ শতাংশ বেশি ছিল। গত এক বছরে বন ধ্বংসের হার বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। আগস্টের ১০ ও ১১ তারিখে পারা রাজ্যে সমন্বিতভাবে আগুন লাগানো হয় অ্যামাজনে। এদিন রাজ্যটিতে আগুনের পরিমাণ তিনগুণ বেড়ে যায়। এখন অবধি অগ্নিসংযোগের অভিযোগে কাউকে আটক করা হয়নি।

বাতিস্তা দাবি করেন, এসব অপপ্রচার। সেনা অভিযান দিয়ে বন ধ্বংস মোকাবিলা করা যায় না। এজন্য সারা বছর বুদ্ধিবৃত্তি ও সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হয়। তিনি আরো বলেন, শুষ্ক মৌসুমে সাধারণত বনের ভেতর জমি পরিষ্কার করতে বা গাছের গুঁড়ি পুড়িয়ে ফেলতে স্থানীয়রাই আগুন লাগিয়ে থাকে। সে সব জমিতে গবাদিপশু চড়ানো হয়। অ্যামাজনের মোট বন ধ্বংসের ৮০ শতাংশই এসব গবাদিপশু পালনের জায়গা তৈরির উদ্দেশ্যে করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর