× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লাইপজিগের ইতিহাস

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১৫ আগস্ট ২০২০, শনিবার

ফুটবল ক্লাব লাইপজিগের পথচলা মাত্র ১১ বছরের। ২০০৯ সালে যাত্রা শুরুর ৯ বছরের মাথায় পঞ্চম বিভাগ থেকে ২০১৬ সালে জার্মান বুন্দেসলিগায় নাম লেখায় দলটি। এবার গড়লো ইতিহাস। বৃহস্পতিবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ২-১ গোলে হারায় তারা। এবারই প্রথম ইউরোপের অভিজাত এ ফুটবল আসরের নকআউট পর্বে উঠেছে লাইপজিগ। আর পঞ্চম জার্মান দল হিসেবে আসরের সেমিতে উঠলো কোচ ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল। সেমিফাইনালে লাইপজিগ খেলবে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) বিপক্ষে।
ইতিহাস গড়ার উচ্ছ্বাসে ভাসছেন দলটির ৩৩ বছর বয়সী কোচ ইউলিয়ান নাগেলসমান। তরুণ এই জার্মান কোচ বলেন ‘আবেগময় একটা ইতিহাস গড়েছি আমরা।
উপলক্ষটা উদযাপন করার খুব বেশি সময় আমরা পাবো না। স্বল্প সময়ের জন্য উদযাপন করবো। এরপর পিএসজির বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা।’
লাইপজিগের শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নিয়ে তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ কোচ ডিয়েগো সিমিওনে। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশামতো পারফর্ম করতে ব্যর্থ হয়েছি। লাইপজিগ দারুণ দল। তারা পুরো ম্যাচে উজ্জীবিত ফুটবল উপহার দিয়েছে। আমরা বিদায় নিয়েছি। তবে লাইপজিগকে অভিনন্দন জানাতেই হবে। তারাই সেমিতে খেলার যোগ্য।’
শেষ ষোলোয় কোচ হোসে মরিনহোর টটেনহ্যাম হটস্পারকে হারানোর পর কোয়ার্টার ফাইনালে সিমিওনের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে জয়। সময়ের অন্যতম সেরা দুই কোচের বিপক্ষে জয়কে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ নাগেলসমান। লাইপজিগ কোচ বলেন, ‘আমরা কিন্তু শুধু কোচের বিপক্ষে খেলিনি। একটা দলের বিপক্ষে খেলেছি। কৃতিত্বটা তাই দলের সবার।’
এক লেগের শেষ আটের লড়াইয়ে দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে লাইপজিগকে এগিয়ে নেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার দানি ওলমো। ৭১তম মিনিটে সফল স্পটকিক থেকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে সমতায় ফেরান পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড জোয়াও ফেলিক্স। আর ৮৮তম মিনিটে লাইপজিগের মার্কিন ফরোয়ার্ড টেইলর অ্যাডামস গোল করলে বিদায় ঘণ্টা বাজে তিনবারের রানার্সআপদের। ম্যাচের ৭২তম মিনিটে বদলি হিসেবে নেমে গোল করে ২১ বছর বয়সী এই মার্কিন স্ট্রাইকার গড়েছেন ইতিহাস। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে গোলের কৃতিত্ব তার। লাইপজিগের জার্সিতে ২৮ ম্যাচে প্রথম গোল পেলেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর