× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারত বনাম পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ /দক্ষিণ এশিয়ার মিরাকল

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) আগস্ট ১৫, ২০২০, শনিবার, ২:৩৪ পূর্বাহ্ন

শত বছরের অভিন্ন সভ্যতা সত্ত্বেও ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসে ৭৩ বছর পূর্ণ করলো ভারত ও পাকিস্তান। তাদের মধ্যে খেলাধুলা নিয়ে রয়েছে ঘোর বিরোধ। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো হকি ও ক্রিকেট। পরে একই ঘটনা পরিক্রমায় জন্ম নেয়া বাংলাদেশও এই প্রতিযোগিতায় যুক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক ফ্যাক্টরের দিক দিয়ে অন্যদের চমকে দিয়েছে বাংলাদেশ। এটা হলো দক্ষিণ এশিয়ার এক মিরাকল। আবার সব রকম অর্থনৈতিক ও কিছু আর্থ-সামাজিক সূচকে প্রতিবেশীদের চেয়ে উপরে আছে ভারত। পাকিস্তান বেশ ভাল আর্থ-সামাজিক জীবনমান নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও সব প্যারামিটারে পিছিয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশের মতো না হয়ে তারা সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি খরচ এবং সামাজিক খাতে কম খরচ করছে। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশগুলোর মধ্যে খেলাধুলা ছাড়াও অন্য বিষয়গুলো কেমন পারফরমেন্স করছে, বিশেষ করে জনগণের জীবন ধারণের মান- তা নিয়ে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া একটি তুলনামুলক চিত্র তুলে ধরেছে। এর নাম দেয়া হয়েছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডে কাপ। তাতেই এসব কথা বলা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে গ্রাফিক্স ফরম্যাটে তুলে ধরা হয়েছে। প্রথমেই তুলে ধরা হয়েছে মাথাপিছু জাতীয় প্রবৃদ্ধি। ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট সূচক অনুসারে ২০১৯ সালে বাংলাদেশে মাথাপিছু জাতীয় প্রবৃদ্ধি বা আয় ছিল ১২৮৭.৮ ডলার। ভারতে ছিল ২১৬৯.১ ডলার। পাকিস্তানে ১১৮৫.৫ ডলার। এক্ষেত্রে ভারতকে বিজয়ী দেখানো হয়। একই সূত্র থেকে বলা হয় ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ২০৯৯৭ কোটি ডলার। পাকিস্তানে ছিল ২৫৬৭৩ ডলার। ভারতে ছিল ২.৯ ট্রিলিয়ন ডলার। এখানে ভারতকে দেখানো হয় বিজয়ী হিসেবে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জিডিপি যোগ করে তাকে ৬ দিয়ে গুণ করলে যে অংক হয়, ভারতের জিডিপি তার সমান। গ্রোস সেভিংস অংশে বলা হয়, বাংলাদেশে সেভিংসের হার সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে বেশি সেভিংসের অর্থ হলো, বিনিয়োগে খরচ কম। ২০১৮ সালে বাংলাদেশে সেভিংস ছিল শতকরা ৩৩.৩ ভাগ। ভারতে ৩১.১ ভাগ এবং পাকিস্তানে ১৯.৩ ভাগ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিজয়ী বলা হয়।
ব্যবসা সহজীকরণ অংশে বলা হয়, নি¤œ পারফরমেন্স থেকে উচ্চ পারফরমেন্স ধরা হয় ০ থেকে ১০০ পর্যন্ত সংখ্যা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ২০১৯ সালে অর্জন করেছে ৪৫.১ পয়েন্ট। ভারত ৭১.১ পয়েন্ট এবং পাকিস্তান পয়েন্ট। এ খাতে ভারতকে বিজয়ী ঘোষণা করা জহয়। এতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে যেসব দেশ উন্নতি বা অগ্রগতি সাধিত করছে তার মধ্যে অন্যতম ভারত। এই রিপোর্টে এই তিনটি দেশে শতকরা কত মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে তারও একটি তুলনা তুলে ধরা হয়। বলা হয়, বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারীর শতকরা হার ২৪.৩ ভাগ। ভারতে শতকরা ২১.৯ ভাগ এবং পাকিস্তানে ২৪.৩ ভাগ। এতে বলা হয়, ভারতে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জিত হচ্ছে এখানেও তা ফুটে উঠেছে। এ ক্যাটেগরিতে ভারতকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। শিশু মুত্যুর হার সম্পর্কেও এতে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। কোন দেশে কত শিশু মারা গেছে তা প্রতি হাজারের হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে প্রতি হাজারে নবজাতক শিশু মৃত্যু হার ছিল ২৫.১ ভাগ। ভারতে ২৯.৯ ভাগ। পাকিস্তানে ৫৭.২ ভাগ। এই ক্যাটেগরিতে বাংলাদেশকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
শিশুর নিরাপত্তা অংশে বলা হয়, ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সসীমার মধ্যে প্রতি ১০০০ শিশুর মধ্যে বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর হার ২০১৭ সালে ছিল ৪.১ ভাগ। ভারতে ৫.৭ এবং পাকিস্তানে ৯.৭। এক্ষেত্রে বিজয়ী বাংলাদেশ। এখানে মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা ও পুষ্টি সরবরাহের সুযোগ ছিল। প্রথামিক স্কুলগামিতার একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এতে দেখা গেছে বাংলাদেশে ২০১৭ সালের হিসাবে শতকরা ১১৬.৫ ভাগ শিশু স্কুলে গিয়েছে। ভারতে এই হার ১১২.৯ ভাগ এবং পাকিস্তানে ৯৪.৩ ভাগ। এক্ষেত্রে বিজয়ী বাংলাদেশ। বিশেষ করে ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।
১৫ বছর বা তার ওপরে বয়সীদের ক্ষেত্রে ২০১৮ সালে শিক্ষিতের হারের দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল ভারত। এক্ষেত্রে ভারতে শিক্ষিতের শতকরা হার ৭৪.৪ ভাগ। বাংলাদেশে ৭৩.৯ ভাগ এবং পাকিস্তানে ৫৯.১৩ ভাগ (২০১৭ সালের হিসাব)। বলা হয়েছে শিক্ষিতের হারের অগ্রগতিতে বড় ফ্যাক্টর হলো লিঙ্গ। সন্তান জন্মদানে ২০১৮ সালে বিজয়ী ছিল বাংলাদেশ। এ বছর বাংলাদেশে প্রতিজন নারীর সন্তান জন্মদানের হার ছিল ২। ভারতে ২.২ এবং পাকিস্তানে ৩.৫। গড় আয়ুষ্কালের হিসাবেও বাংলাদেশ বিজয়ী। ২০১৮ সালের হিসাবে বাংলাদেশের গড় আয়ুষ্কাল ছিল ৭২.৩ বছর। ভারতে ৬৯.৪ ভাগ ও পাকিস্তানে ৬৭.১ ভাগ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে আয়ুষ্কাল সবচেয়ে বেশি। ২০১৭ সালে    বাতাস দূষণের ক্যাটাগরিতে পাকিস্তান বিজয়ী। বিদ্যুত সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিজয়ী ভারত। ২০১৮ সালের হিসাবে ভারতে গড়ে শতকরা ৯৫.২ ভাগ মানুষ বিদ্যুত সুবিধা পেয়েছে। বাংলাদেশে এই হার ৮৫.২ ভাগ। পাকিস্তানে ৭১.১ ভাগ। ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর ৩ কোটি ভারতীয় বিদ্যুত পেয়েছেন। অন্যদিকে ২০১৮ সালের হিসাবে বাংলাদেশে সামরিক খাতে জিডিপির শতকরা ১.৪ ভাগ ব্যয় হয়। ভারতে এই হার শতকরা ২.৪ ভাগ ও পাকিস্তানে ৪ ভাগ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর