বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুরহস্যের সঙ্গে মাদক মাফিয়াদের যোগসূত্র ক্রমশ প্রবল হচ্ছে। শুক্রবার রাত নটা নাগাদ নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো গ্রেপ্তার করে সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিক চক্রবর্তী ও সুশান্ত সিং রাজপুতের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে। দু' জনের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে ড্রাগ কেনাবেচা, ড্রাগ বহন করা এবং ড্রাগ রাখার অভিযোগে এন ডি পি এস আইনে মামলা আনা হয়েছে। শনিবার তাদের আদালতে পেশ করা হবে। এই অপরাধের শাস্তি একবছর জেল ও জরিমানা। সৌভিককে তাদের বান্দ্রার বাড়ি থেকে এবং মিরান্ডাকে তার সাহারের ফ্ল্যাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিবিআই এর একটি সূত্র জানাচ্ছে, সুশান্তকে আত্মঘাতী হওয়ার প্ররোচনা দেয়ার জন্যে রিয়া চক্রবর্তীকে যে কোনও মুহূর্তে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো জানাচ্ছে, বলিউডে ড্রাগ নেয়াটা জলভাতের ব্যাপার। পাঁচহাজার টাকায় এক গ্রাম মারিজুয়ানা মেলে বলিউডে। সুশান্ত সিং রাজপুত যে নিয়মিত মারিজুয়ানা খেতেন তা রিয়ার হোয়াটস্যাপ চ্যাটে আগেই ফাঁস হয়েছে। অভিযোগ, সৌভিকের নির্দেশে কাইজান ইব্রাহিম এবং জাহিদ ভিলাপ্রে নামে দুই ড্রাগ পেডল নিয়মিত মারিজুয়ানা সরবরাহ করত স্যামুয়েল মিরান্ডাকে। স্যামুয়েল সেই ড্রাগ দিত সুশান্তকে। ইতিমধ্যেই জাহিদকে গ্রেপ্তার করেছে নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো। শনিবার গ্রেপ্তার করা হতে পারে কাইজানকে। আর এক ড্রাগ ব্যবসায়ী বাসিত পরিহারকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে নার্কোটিক ব্যুরো। এই পরিহারই বলিউড ড্রাগ সাপ্লাই চেন এর বড় মাথা বলে এন সি বি'র অনুমান।।