ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি বা এনআইএ'র হাতে ধরা পড়লো ভারত - বাংলাদেশ জাল নোট পাচারের অন্যতম পান্ডা এনামুল হক। এনআইএ মালদার বৈষ্ণবনগর থানার বাংলাদেশ সীমান্তের পাশে সবদলপুরের মোহনপুরে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে এনামুলকে। তাকে ধরিয়ে দিতে পারলেই পঁচিশ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল এনআইএ। বাংলাদেশ থেকে জাল টাকা এনে সে অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানায় ছড়িয়ে দিতো। বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকাতেও এনামুলের নাম আছে। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর নির্দেশে এনামুল জাল নোটের কারবার চালাতো। বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জে এম বি জামাত গোষ্ঠী এই জাল নোট চক্রকে মদত দেয় ভারত ও বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বিপন্ন করতে। কদিন আগে অন্ধ্রে মোহাম্মদ নেহবুব বগি নামের এক নোট পেডলের ধরা পড়ার পরই তার কাছে টিপ পেয়ে এনামুলকে ধরা সম্ভব হল বলে এনআইএ জানিয়েছে।
বছরখানেক আগে এই চক্রের আর এক নায়ক ইউনিয়ন বোর্ড এর সদস্য হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিলকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান শিবগঞ্জ থেকে। বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে জাহরগঞ্জ হয়ে গোলাপি দুহাজার টাকার জাল নোট পৌঁছে যেত মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে। সেখান থেকে মালদা হয়ে তা যেত ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। কিং পিন এনামুল ধরা পড়ায় এই কারবার কিছুটা স্তিমিত হবে, অনুমান এনআইএর।