এই অতিমারির দিনেও ভিড় সামলাতে হিমশিম দক্ষিণ কলকাতার রুবি হাসপাতাল। অসুরনাশিনীকে দেখতে ভিড় করছেন চেনা - অচেনা মানুষ। সোমবার লকডাউন এর দিনে আট কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়কে শুধু একবার চোখের দেখা দেখতে এসেছিলেন কলেজ স্ট্রিটের একটি প্রকাশনা সংস্থার কর্মী রবীন পাত্র। কিন্তু কি এমন করেছেন নীলাঞ্জনা যার জন্যে তিনি এখন মহানগরীর মা দূর্গা? ফিরে যেতে হবে শনিবার ঘটনার উৎসে। স্বামী দীপ সাতপথীর সঙ্গে একটি পার্টি থেকে গাড়িতে আনন্দপুরের বাড়িতে ফিরছিলেন নীলাঞ্জনা। হটাৎ পিছনের একটি গাড়ি থেকে নারীকন্ঠের একটি আর্ত চিৎকার তিনি শুনতে পান। স্বামীকে বলেন, আড়াআড়ি গাড়িটি দাঁড় করাতে। পিছনের হোন্ডা সিটির পথ রোধ করে দাঁড়ায় দীপের গাড়ি। দরজা খুলে ওই গাড়ির কাছে গিয়ে দেখেন নীলাঞ্জনা যে এক তরুণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করছে গাড়ির চালক। তার শাড়ি, ব্লাউস ছিন্ন ভিন্ন। নীলাঞ্জনা গাড়ির দরজা খুলে বিপন্ন মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। গাড়ির চালক তখন পালানোর সময় শুনশান ই এম বাই পাস এ রুবি মোড়ের কাছে নীলাঞ্জনার পায়ের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেন। পা ভেঙে যায় নীলাঞ্জনার। সান্তনা শুধু একটাই যে লাঞ্চিত মেয়েটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। রুবি হাসপাতালে দীপ নিয়ে যান নীলাঞ্জনাকে। রবিবারই জরুরি অপারেশন করা হয় নীলাঞ্জনার পায়ে। দীপ জানিয়েছেন, পুলিশের ইমার্জেন্সি নম্বরে ফোন করতেই পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। হোন্ডা সিটির মালিক অমিতাভ বসুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একত্রিশ বছরের ব্যাংক কর্মী মেয়েটি জানিয়েছে, অমিতাভ বসুর সঙ্গে তার দিনসাতেক আলাপ হয়েছে। অমিতাভের আমন্ত্রণেই সে শনিবার নাইট আউটে গিয়েছিল। ভাবতে পারেনি এই অভিজ্ঞতা হবে। সে সাতচল্লিশ বছরের নীলাঞ্জনাকে দেবী দুর্গাই ভাবছে।।