× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ছোট্ট আল-আমিনের প্যাডেল

ষোলো আনা

পিয়াস সরকার
১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, শুক্রবার

আল-আমিন। বয়স সবে ১২। বাধ্য হয়ে রিকশা চালায় রাজধানীতে। ১৫ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবার এক পা কেটে ফেলতে হয়। মা-বাবা ও দুই বোনের সংসার। মা বাসাবাড়িতে কাজকর্ম করে। একদিকে সংসার অন্যদিকে বাবার চিকিৎসার খরচ যোগাড় করতে হয়।
 
একশ’ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে দিনে দুইশ’ বা তিনশ’ টাকা আয় হয়। আল-আমিন মায়ের সঙ্গে থাকে তার বোনের বাড়িতে।
পেট চালাতে টাকা দিতে হয় সংসারে। পড়ালেখা করার ইচ্ছা থাকলেও তা আর হয়ে ওঠেনি। পরিবার আর বাবার চিকিৎসার খরচের টাকাও দিতে হয়।

আল আমিন বলে, নিজের খরচের জন্য তেমন টাকা খরচ করি না। সকালে এক কাপ চা আর দুইটা পরাটা খেয়েছি। ক্ষুদা লাগে তারপরও টাকা খরচ করি না। একদিকে বাবার চিকিৎসা খরচ আরেকদিকে সংসার। ছোট মানুষ কেউ রিকশায় উঠতেও চায় না। রিকশা চালাইতে চালাইতে হাঁপায় যাই তাও বাধ্য হয়ে চালাই। প্রায় দুইবছর ধরে রিকশা চালাচ্ছে বলেও জানায় আল-আমিন।

আল-আমিনের মা জানান, আমার ছোট ছেলেটা কষ্ট করে। সইতে না পারলেও করবার কিছুই যে নেই। রিকশা না চালালে জুটবে না খাবার। আল-আমিনের বাবা থাকেন নীলফামারীতে। অসহায় পরিবারটির যেন করুণ পরিণতিই একমাত্র সম্বল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর