বাইশ বছরের সুন্দরী, কলকাতার মৌলনা আজাদ কলেজের ছাত্রী তানিয়া পারভিনকে মনে আছে? লকডাউনের মাঝে যাকে উত্তর চব্বিশ পরগনার হাড়োয়ায় তার বাড়ি থেকে চর সন্দেহে গ্রেপ্তার করেছিল ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি বা এনআইএ। শুক্রবার এনআইএ তানিয়া পারভিন সংক্রান্ত আটশো পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে আদালতে। চার্জশিটের ছত্রে ছত্রে আছে চাঞ্চল্যকর, রোমহর্ষক তথ্য। সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে তানিয়ার জঙ্গিযোগ। অতঃপর পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এর সঙ্গে যোগাযোগ। গত তিন বছর কলকাতায় বসে আইএসআই এর নির্দেশেই কাজ করছে তানিয়া পারভিন। যৌবনের পসরা সাজিয়ে ভারতীয় সেনা অফিসারদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া মারফত যোগাযোগ করে ভারত সম্পর্কিত বহু গোপন তথ্য সে তুলে দিয়েছে পাকিস্তানের হাতে। তানিয়ার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল প্যালেস্টাইন, সিরিয়া এবং ইরানের জঙ্গি গোষ্ঠীর।
লস্কর-ই-তৈবার স্লিপার সেলের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। হাওয়ালার মাধ্যমে তানিয়ার কাছে টাকা আসতো মোটামুটি পাকিস্তান থেকেই। তানিয়া বাংলাদেশকে করিডোর করে পাকিস্তানে যাওয়ার পরিকল্পনাও করে ফেলেছিল। কলকাতার মৌলানা আজাদ কলেজে তার আচরণ খুব স্বাভাবিক ছিল। মেধাবী ছাত্রী হিসেবে পরিচিত ছিল তানিয়া।