অনলাইন
ফাদার টিমের মৃত্যুতে প্রফেসর ইউনূসের শোক
অনলাইন ডেস্ক
২০২০-০৯-১৪
নটরডেম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রিচার্ড উইলিয়াম টিমের (ফাদার টিম) মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন নোবেল জয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। ইউনূস সেন্টার থেকে পাঠানো এক শোক বার্তায় প্রফেসর ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের জন্য তিনি ছিলেন এক স্মরণীয় অধ্যায় এবং এদেশের জন্য তাঁর অবদান ছিল খুবই দৃশ্যমান। দেশের যে-কোনো দুর্যোগে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে, সাহসের সঙ্গে এগিয়ে এসেছেন। মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন সুউচ্চ স্তম্ভের মতো। তিনি তাঁর সমগ্র জীবন এদেশে কাটিয়েছেন এবং দরিদ্র, অসহায় মানুষদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন।
স্মৃতিচারণ করে প্রফেসর ইউনূস বলেন, ইন্ডিয়ানার নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে তাঁর সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়। আমি বিশ্ববিদ্যালয়টির বার্ষিক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলাম। সেখানকার অধ্যাপকদের একজন আমাকে বলছিলেন যে, ফাদার টিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই আছেন। ঐ অধ্যাপক বলছিলেন যে, তিনি (ফাদার টিম) দুঃখ প্রকাশ করেছেন যে, তিনি বক্তৃতা অনুষ্ঠানে আসতে পারছেন না। আমি তখনই তাঁর সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিই এবং অনুষ্ঠানের কাজ শেষ হবার সাথে সাথে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। আমি হতাশ হই যখন আমি তাঁকে একটি ছোট্ট বৃদ্ধনিবাসে আরো পাঁচ জন বৃদ্ধ মানুষের সাথে দেখতে পাই। জনগণের সবচেয়ে কাছের মানুষটি এখন তাঁর ভালবাসার মানুষদের কাছ থেকে কত দুরে। তাঁকে হুইল চেয়ারে নিয়ে আসলেন নার্স। আমার নিকট থেকে তিনি বাংলাদেশের সকল সংবাদ জানতে চাইছিলেন, জানতে চাইছিলেন তাঁর পরিচিতজনদের সম্পর্কে। নার্স আমাকে বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন যে, কথা বলা তাঁর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু ফাদারের কথা কিছুতেই থামানো যাচ্ছিল না। তিনি বার বারই বাংলাদেশের কথা, এখানকার মানুষের কথা বলে যাচ্ছিলেন, তাদের সম্পর্কে জানতে চাইছিলেন। শেষে নার্স অনেকটা জোর করেই তাঁকে তাঁর কক্ষে নিয়ে যান। বাংলাদেশের জন্য তাঁর হৃদয়ের টান আমি প্রতি মুহূর্তে অনুভব করছিলাম। তিনি বার বার বলছিলেন, “আমি বাংলাদেশে মরতে এবং সেখানেই সমাহিত হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কেউ আমার কথা শুনছে না। আমি খুব অসহায়।”
ফাদার টিম, বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে আপনি চিরকাল বেঁচে থাকবেন। আপনি তাদেরকে ভালবেসেছেন। তারাও আপনাকে ভালবেসে যাবে। তারা আপনাকে সবসময় স্মরণ করবে।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, আপনার মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন অকৃত্রিম বন্ধুকে হারালো। এই দেশ যত দুর্যোগ মোকাবেলা করেছে তার প্রতিটি ক্ষেত্রেই আপনার স্নেহময় হাতের স্পর্শ লেগে আছে।
স্মৃতিচারণ করে প্রফেসর ইউনূস বলেন, ইন্ডিয়ানার নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে তাঁর সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়। আমি বিশ্ববিদ্যালয়টির বার্ষিক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলাম। সেখানকার অধ্যাপকদের একজন আমাকে বলছিলেন যে, ফাদার টিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই আছেন। ঐ অধ্যাপক বলছিলেন যে, তিনি (ফাদার টিম) দুঃখ প্রকাশ করেছেন যে, তিনি বক্তৃতা অনুষ্ঠানে আসতে পারছেন না। আমি তখনই তাঁর সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিই এবং অনুষ্ঠানের কাজ শেষ হবার সাথে সাথে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। আমি হতাশ হই যখন আমি তাঁকে একটি ছোট্ট বৃদ্ধনিবাসে আরো পাঁচ জন বৃদ্ধ মানুষের সাথে দেখতে পাই। জনগণের সবচেয়ে কাছের মানুষটি এখন তাঁর ভালবাসার মানুষদের কাছ থেকে কত দুরে। তাঁকে হুইল চেয়ারে নিয়ে আসলেন নার্স। আমার নিকট থেকে তিনি বাংলাদেশের সকল সংবাদ জানতে চাইছিলেন, জানতে চাইছিলেন তাঁর পরিচিতজনদের সম্পর্কে। নার্স আমাকে বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন যে, কথা বলা তাঁর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু ফাদারের কথা কিছুতেই থামানো যাচ্ছিল না। তিনি বার বারই বাংলাদেশের কথা, এখানকার মানুষের কথা বলে যাচ্ছিলেন, তাদের সম্পর্কে জানতে চাইছিলেন। শেষে নার্স অনেকটা জোর করেই তাঁকে তাঁর কক্ষে নিয়ে যান। বাংলাদেশের জন্য তাঁর হৃদয়ের টান আমি প্রতি মুহূর্তে অনুভব করছিলাম। তিনি বার বার বলছিলেন, “আমি বাংলাদেশে মরতে এবং সেখানেই সমাহিত হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কেউ আমার কথা শুনছে না। আমি খুব অসহায়।”
ফাদার টিম, বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে আপনি চিরকাল বেঁচে থাকবেন। আপনি তাদেরকে ভালবেসেছেন। তারাও আপনাকে ভালবেসে যাবে। তারা আপনাকে সবসময় স্মরণ করবে।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, আপনার মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন অকৃত্রিম বন্ধুকে হারালো। এই দেশ যত দুর্যোগ মোকাবেলা করেছে তার প্রতিটি ক্ষেত্রেই আপনার স্নেহময় হাতের স্পর্শ লেগে আছে।