× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নারায়ণগঞ্জে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ / ধর্ষকের যাবজ্জীবন

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, শুক্রবার

নারায়ণগঞ্জের আাড়াইহাজারে মেধাবী এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার আট বছর পর ধর্ষণকারী নাঈম হাসান (২৮)কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ শাহীন উদ্দীন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে অপহরণ, নারী ও শিশু নির্যাতন উভয় অভিযোগে পৃথকভাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ আসামিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার দুই লাখ টাকা আদায় করে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পরিবারকে দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় আদালতে ধর্ষণকারী নাঈম অনুপস্থিত ছিলেন। দণ্ডিত নাঈম হাসান আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের উজান গোবিন্দী গ্রামের আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে ও ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা লাক মিয়ার ভাতিজা।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন।
মামলার বরাত দিয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট কাজী আব্দুস সেলিম ও এডভোকেট মাসুদ রানা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা-২০১০ এ নারায়ণগঞ্জ জেলায় পঞ্চম স্থান অর্জনকারী ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়া উজান গোবিন্দী বিনাইরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রীকে ২০১২ সালে ৭ই এপ্রিল সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে ধর্ষক নাঈম হাসান। অপহরণের পর রূপগঞ্জের পারাগাঁও এলাকায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে অজ্ঞান অবস্থায় তাদের বাড়ির সামনের রাস্তায় ফেলে যায়। পরিবারের সদস্যরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে রেখে চিকিৎসা দেয়।
এ ব্যাপারে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে অপহরণসহ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আড়াইহাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে ধর্ষিতার পরিবারকে মামলা তুলে নেয়াসহ যারা সাক্ষী দিয়েছে তাদেরকে গোপনে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এছাড়াও জামিনে প্রতারণার আশ্রয়সহ বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে কালক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে উচ্চ আদালতে মামলার কার্যক্রম ফের স্থগিতের আবেদন করলে গত সপ্তাহে চেম্বার জজ তা খারিজ করে দেন। পূর্বনির্ধারিত তারিখ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর এ স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
তারা জানান, দীর্ঘ সময় পরে হলেও আদালতের রায়ে দোষীদের চিহ্নিত করে সাজা দেয়া হয়েছে তাতে তারা সন্তুষ্ট।
মামলার বাদী জানান, ধর্ষণকারী ও তার পরিবার স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনার পর গত ৮ বছর তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের নানারকম হয়রানি সহ্য করতে হয়েছে। তাদের নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। এরপরও তিনি মনে করেন, সবার সহযোগিতায় আদালতের এই রায় পেয়েছেন, যাতে অপরাধীর সাজা হয়েছে। এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ঘটনার সময় নির্যাতিত স্কুলছাত্রী সপ্তম শ্রেণিতে পড়তো। এখন সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। দীর্ঘ সময় পরে এসে আলোচিত এই ঘটনায় আদালতের রায়ে নির্যাতিত সেই ছাত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর