× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চা বাগানের কাঁচা চা পাতা চুরি মামলা না নিয়ে মীমাংসার পরামর্শ

বাংলারজমিন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, শুক্রবার

রাতের আঁধারে এক একর চা বাগানের কাঁচা পাতা কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত চা বাগান মালিক লিখিত অভিযোগ করলেও থানা কর্তৃপক্ষ ১৪ দিনেও অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত না করে অভিযুক্তদের সঙ্গে মীমাংসা করে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে। অভিযোগ মতে, তিন বছর আগে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ভেলকুপাড়া এলাকায়  পৈতৃক এক একর জমিতে চা চাষ শুরু করেন ক্ষুদ্র চা চাষি ও জমির মালিক আবুল কাশেম প্রধানসহ তার পরিবারের অন্য সদস্যরা। এরই মধ্যে একাধিকবার কাঁচা চা পাতা বিক্রিও করেন তারা। তবে তার নিকট আত্মীয় লতিফুল কবির প্রধান দীর্ঘদিন থেকে চা বাগানের জমিটি তাদের বলে দাবি করে আসছেন। এ নিয়ে একটি মামলাও চলছে। এরই মধ্যে ৪ঠা সেপ্টেম্বর রাতের আঁধারে কে বা কারা ওই বাগানের কাঁচা চা পাতা কেটে নিয়ে যায়। চুরি যাওয়া চা পাতার মূল্য পঞ্চাশ হাজার টাকার বেশি হতে পারে বলে বাগান মালিকের ধারণা।
এ ঘটনায় পরদিন চা চাষি মালিক আবুল কাশেম প্রধান বাদী হয়ে লতিফুল কবির প্রধানসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি চুরির অভিযোগ দেন। চুরির অভিযোগ দেয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এরপর থেকে তদন্ত সাপেক্ষে মামলাটি নথিভুক্ত করতে দিনের পর দিন ঘুরছেন ক্ষতিগ্রস্ত চা চাষি। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে মামলা রেকর্ড না করে মীমাংসার পরামর্শ  দেয়া হচ্ছে। জমির মালিক ও ক্ষতিগ্রস্ত চা চাষি আবুল কাশেম প্রধান বলেন, আমরা কষ্ট করে আমাদের দখলে থাকা পৈতৃক জমিতে চা বাগান করেছি। এর আগেও একবার একই জমি থেকে কাঁচা চা পাতা চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তখনও থানায় অভিযোগ করে আমরা কোনো প্রতিকার পাইনি। জমিটির মালিকানা নিয়ে লতিফুল কবির পক্ষের সঙ্গে একটি মামলা চলমান আছে। কিন্তু রাতের আঁধারে তারা দলবল নিয়ে আমাদের বাগান থেকে কাঁচা চা পাতা চুরি করে কেটে নিয়ে গেছে। নাম দিয়ে চুরির এজাহার দিলেও অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় ১৪ দিনেও চুরির এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়নি। উল্টো পুলিশ তাদের সঙ্গেই মীমাংসার পরামর্শ দিচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার ওসি আবু আক্কাস আহমেদ বলেন, চুরির অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। চা বাগানের ওই জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। একটি মামলাও চলমান রয়েছে। এ জন্য অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত না করে মীমাংসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর