× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন: কাকে ভোট দেবেন প্রবীণরা!

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০, শুক্রবার, ১২:০০ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সমাগত। চারদিক থেকে বিশ্লেষণ- কে হতে যাচ্ছেন নতুন প্রেসিডেন্ট, ডনাল্ড ট্রাম্প (৭৪) নাকি জো বাইডেন (৭৭)? ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন রিপাবলিকান ডনাল্ড ট্রাম্প। বলা হয়, তখন ৬৫ বছরের ওপরে বয়স এমন মার্কিনিরা একজোট হয়ে তাকে ভোট দিয়েছিলেন। সেই হিসাবে হিলারির চেয়ে শতকরা ৯ ভাগ বেশি এই বয়সসীমার ভোটার ভোট দিয়েছিলেন ট্রাম্পকে। কিন্তু এই করোনা ভাইরাস মহামারিতে ট্রাম্পের নেতৃত্ব নিয়ে তীব্র বিতর্ক হয়েছে এবং হচ্ছে। চার বছর পেরিয়ে গেছে এরই মধ্যে। এখনও কি তিনি সেইসব মানুষের মনে স্থান পেতে আছেন? এসব নিয়ে অনলাইন বিবিসি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রকে এতটা বিভক্ত কখনো দেখিনি
নিউ ইয়র্কের মাউন্ট কিসকোতে বসবাস করেন অবসরপ্রাপ্ত আইনজীবী এলিজাবেথ হল (৬৫)।
২০১৬ সালে তিনি ট্রাম্পকে ভোট দেয়ার জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করেন। বলেন, তাকে ভোট দেয়া ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে তিনি ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন। তাই ৫ নাতিনাতনীর গ্রান্ডমাদার হল বলেন, আমি তো কখনো আমেরিকাকে এতটা বিভক্ত হতে দেখিনি। তিনি মনে করেন করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে যথেষ্ট ঘাটতি আছে। তাই এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জো বাইডেনকে ভোট দেবেন। তার মতে, জো বাইডেনের অনেক বেশি সহানুভূতি আছে। হল বলেন, প্রতিদিনই ট্রাম্প কোভিড-১৯ নিয়ে মিটিং করেছেন। আর প্রতিদিনই তিনি প্রকৃত সত্যকে উপেক্ষা করেছেন। সেগুলোকে দূরে ঠেলে দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের হাজার হাজার বয়স্ক ভোটাররা এবার ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। পোস্টাল ভোটে বিঘœ সৃষ্টির আশঙ্কা করেন তিনি। বলেন, এই আইডিয়াটা আমি পছন্দ করি না। আমার কাছে সংশয় লাগে।



‘গোফবল’, তবু পছন্দ করি
শিকাগোর ইলিনয়ে বসবাস করেন ৬৮ বছর বয়সী নিল ভ্যান স্টিমবার্গ। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দ্বিতীয়বারের মতো ভোট দেবেন ট্রাম্পকে। নিল ভ্যান একজন অবসরপ্রাপ্ত কম্পিউটার অপারেটর। তিনি ট্রাম্পকে একজন গোফবল বলে আখ্যায়িত করেন। গোঁয়ার বা বাজে লোক বুঝাতে ইংরেজিতে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়। তবু তিনি ট্রাম্পকে পছন্দ করেন, যদিও তার করোনা মহামারি ও নেতৃত্ব নিয়ে তার সংশয় আছে।



বাইডেন দুর্বল প্রার্থী
টেক্সাসের ক্যারোলটনে বসবাস করেন ড. এবুন ইকুনওয়ে। তিনি ২০১৬ সালের নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন ট্রাম্পকে। অবসরপ্রাপ্ত এই চিকিৎসক স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে ছিলেন। তার মতে, নির্বাচনে তার সবচেয়ে বড় সচেতনতার বিষয় হলো স্বাস্থ্যসেবা। তাই তিনি ভোট দেবেন জো বাইডেনকে। ভোট দিলেও তিনি জো বাইডেনকে একজন দুর্বল প্রার্থী বলে মনে করেন। এমনই কারণে তিনি চার বছর আগে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন। তার মনে হয়েছিল, ট্রাম্প একজন ফাইটার।



বর্ণবাদী নন ট্রাম্প
ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলিতে বসবাস করেন মারিয়া (৭৪)। তিনি বিশ্বাস করেন এবারের নির্বাচনকে রাজনীতিকরণ করেছে ব্লাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলন। তা সত্ত্বেও সাবেক মার্কসবাদী মারিয়া জানিয়ে দিয়েছেন নভেম্বরের নির্বাচনে তিনি আবারও ভোট দেবেন ট্রাম্পকে। তিনি মনে করেন, ট্রাম্পকে অনেক সময় অন্যায়ভাবে সমালোচনা করা হয়। তাকে বর্ণবাদী বলাটা একেবারে রাবিশ ব্যাপার। তিনি এই যুগের অন্য যেকারো মতো। মারিয়া একজন শ্বেতাঙ্গ। তিনি বলেন, ডেমোক্রেটরা ট্রাম্পকে আক্রমণ করে ক্ষতি করছে জাতীয় ঐক্য ও জাতীয় নিরাপত্তা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর