বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টেলিফোনে কেউ তাকে পাচ্ছিলেন না। সন্ধ্যায় বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের মৃতদেহ মিলল তার ফ্ল্যাটের ওয়াশরুমে। পুলিশ এটিকে অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছে। ৬৩ বছরের শর্বরী দত্ত একাই থাকতেন তার ব্রড স্ট্রিটের ফ্ল্যাটে। পুরুষদের পোশাক ডিজাইন করার ব্যাপারে তিনি ছিলেন ভারতের প্রথম সারির। নিজস্ব ব্র্যান্ড শূন্য তৈরি করার পর তিনি মেয়েদের পোশাক তৈরিতেও ব্রতী হন। কলকাতার ককটেল সার্কিটে শর্বরী দত্ত একটি পরিচিত নাম ছিল। বিখ্যাত কবি অজিত দত্তর কন্যা শর্বরীর একমাত্র পুত্র অমলিনও ফ্যাশন ডিজাইনার। চিকৎসকরা জানিয়েছেন, ওয়াশরুমে সম্ভবত স্ট্রোকের শিকার হন শর্বরী।
তবে, কোনও কারণে তিনি শক পেয়েছিলেন। এই বয়সেও সুন্দরী শর্বরী দত্তর শক পাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করছে পুলিশ।
শর্বরী দত্ত'র মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। অভিনেতা - অভিনেত্রী ছাড়াও সমাজের সর্বস্তর থেকে শোকবার্তা আসতে থাকে। বাংলাদেশের অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, ঢাকা থেকে কলকাতায় এলেই তাঁর স্টোরে যেতাম। বাংলাদেশের রেসিপি তাঁর খুব পছন্দের ছিল। জয়া জানান যে, প্রয়াত শর্বরী দত্ত তাঁকে মিষ্টি মেয়ে বলে ডাকতেন।