× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রংপুরে শয়নকক্ষে দু’বোনের লাশ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, শুক্রবার

রংপুরে শয়নকক্ষ থেকে দু’বোনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরা হলেন, খলিফাটারী মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার মীম (১৬) ও বীরমুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতুল মাওয়া (১৪)। তারা সম্পর্কে চাচাতো বোন। এ ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার নগরীর গণেশপুর এলাকায়।
নিহতের পরিবারের সদস্য, পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, গণেশপুর এলাকার কারেন্ট মিস্ত্রি মমিনুল ইসলামের তৃতীয় স্ত্রী নিজ ছেলেকে নিয়ে দু’দিন আগে কুড়িগ্রাম উলিপুরে বাবার বাসায় যায়। বৃহস্পতিবার বিকালে মমিনুল প্রথম স্ত্রীর সন্তান মেয়ে জান্নাতুল মাওয়াকে একা বাড়িতে রেখে সৎ মাকে আনতে কুড়িগ্রাম যায়। প্রতিবারের মতো বৃহস্পতিবার জান্নাতুল তার চাচাতো বোন সুমাইয়া আক্তার মীমকে নিজ ঘরে রাত্রি যাপনের জন্য নিয়ে আসে। রাত ৮টার দিকে মীম জান্নাতুলদের বাড়ি যায়। এরপর শুক্রবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ঘরে কোন সাড়া শব্দ না পাওয়ায় মীমের মা ঘরে গিয়ে দেখে এক কক্ষে তার মেয়ে মীম ফ্যানের সাথে ঝুলে রয়েছে।
অপর ঘরে জান্নাতুল মেঝেতে পড়ে রয়েছে। মেয়েকে ঝুলে থাকতে দেখে মীমের মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। খবর পেয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন, আবু বক্কর সিদ্দিক, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শহিদুল্লাহ কাওসারসহ কোতোয়ালি থানা, গোয়েন্দা শাখা ও বিশেষ শাখার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এলাকাবাসী নাজিম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমি এসে দেখলাম জান্নাতুল মাওয়া মেঝেতে পড়ে আছে। তার গলায় কাটা দাগের মত রয়েছে। নাকের মধ্যে রক্ত ছিল। পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যাকান্ডের ঘটনা তা বেরিয়ে আসুক।
মীমের বাবা দর্জি মোকসেদুল ইসলাম বলেন, মীমের মায়ের চিৎকারে ছোট ভাইয়ের ঘরে গিয়ে দেখি দু’মেয়ে দু’ঘরে মৃত অবস্থায় রয়েছে। রাতে কি হয়েছে আমি বলতে পারবো না। আমি চাই আমার মেয়ে কেন মারা গেল তার প্রকৃত রহস্য পুলিশ উদ্ঘাটন করুক।
এ ব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শহিদুল্লাহ্ কাওসার বলেন, চাচাতো দু’বোনের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। মারা যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে আমাদের টিম কাজ করছে। আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখছি। জান্নাতুল মাওয়ার বাবা-মা বাহিরে থাকায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব না হলেও ইতোমধ্যে তার দাদা, চাচাসহ অন্যান্যদের সাথে কথা বলেছি। আমরা আশাকরি দ্রুতই দুটি মৃতদেহ পাওয়ার বিষয়ে প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর